বড় নিষেধাজ্ঞা থেকে যেভাবে বেঁচেছেন সাকিব

খেলা

টিবিএস রিপোর্ট
24 June, 2020, 07:00 pm
Last modified: 24 June, 2020, 07:07 pm
জুয়াড়ির ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করায় এক বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ আছেন সাকিব আল হাসান। তার শাস্তি আরও বেশি হতে পারতো। সাকিব নিজেই জানিয়েছেন, ৫-১০ বছরও নিষিদ্ধ হতে পারতেন তিনি।

জুয়াড়ির কাছ থেকে তিন তিনবার ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও তা গোপন করেছিলেন সাকিব আল হাসান। যার শাস্তি হিসেবে বাংলাদেশ অলরাউন্ডারকে দুই বছরের (এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা) জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। কিন্তু এই শাস্তি আরও বেশি হতো পারতো। ৫-১০ বছরের জন্যেও নিষিদ্ধ হতে পারতেন সাবেক এই নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার।

আর কেউ নন, সাকিব নিজেই এমনটি জানিয়েছেন। কীভাবে বড় শাস্তি থেকে নিজেকে বাঁচিয়েছেন, সেটাও জানিয়েছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। আইসিসির দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত হওয়ার পর নিজে থেকেই সব খুলে বলায় শাস্তি কম হয়েছে বলে মনে করেন সাকিব।

লম্বা সময় পর ক্রিকেট বা ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কথা বলতে দেখা গেল সাকিবকে। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজে জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অনেক কথাই বলেছেন। 

জুয়াড়ির সঙ্গে ম্যাসেজ আদান-প্রদানের বিষয়টি শুরুতে তেমন গুরুত্ব দেননি সাকিব। কিন্তু এটা যে বড় ধরনের ভুল, তা পরে বুঝতে পেরেছেন ২০১৯ বিশ্বকাপে তাক লাগিয়ে দেওয়া পারফরম্যান্স করা বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। 

সাকিব বলেন, 'আমার মনে হয়, আমি একটু বেশিই হাল্কাভাবে নিয়েছিলাম। অবশ্যই আমি এই প্ল্যাটফর্মে সবকিছু আলোচনা করতে চাই না। দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করার পর আমি সব প্রমাণ দিই। তারা সবকিছু জানে, ভেতরে-বাইরের সব খুঁটিনাটি। সত্যি কথা বলতে এ কারণেই মাত্র ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছি। এ ছাড়া ৫-১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারতাম।'

সাকিব ছিলেন আইসিসির শুভেচ্ছাদূত। দুর্নীতি দমন ধারা বিষয়ক অনেক ক্লাস করেছেন তিনি। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে খেলার কারণে তার অভিজ্ঞতার ঝুলিও সমৃদ্ধ। এ পর্যায়ে এসে এমন ভুল করায় নিজেকে বোকা মনে হয়েছে তার।

সাকিব বলেছেন, 'আমার মনে হয়, বোকার মতো ভুল করেছিলাম। কারণ যে অভিজ্ঞতা আমার আছে, যে পরিমাণ আন্তর্জাতিক ম্যাচ আমি খেলেছি এবং দুর্নীতি দমন ধারা নিয়ে যতগুলো ক্লাস করেছি, আমার ওই ভুল করা উচিত হয়নি। সেটা নিয়ে আমি অনুতপ্ত।'

দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা হলেও কেবল প্রথম বছর কোনো ধরনের ক্রিকেট খেলতে পারবেন না সাকিব। আগামী ২৯ অক্টোবর তার শাস্তির মেয়াদ শেষ হবে। নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে মিডিয়ায় সাকিবকে দেখা যায়নি বললেই চলে। যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন তিনি। 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.