ফিকার প্রতিবেদনে বিপিএলের নাম আসা বিভ্রান্তিকর!

খেলা

টিবিএস রিপোর্ট
04 August, 2020, 08:20 pm
Last modified: 04 August, 2020, 08:25 pm
২০১৮-১৯ বিপিএল খেলা তিনজন ক্রিকেটার ও একজন কোচ তাদের পারিশ্রমিকের পুরোটা বুঝে পাননি। এই ব্যাপারটি স্বীকার করেছে বিসিবি। কিন্তু এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগসহ (বিপিএল) ৬টি ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে খেলা ক্রিকেটাররা পারিশ্রমিক সংক্রান্ত ঝামেলায় পড়েছেন; ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (ফিকা) প্রতিবেদনে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। কিন্তু তাদের প্রতিবেদনের কয়েকটি বিষয়কে বিভ্রান্তিকর ও ত্রুটিপূর্ণ বলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

২০১৮-১৯ বিপিএল খেলা তিনজন ক্রিকেটার ও একজন কোচ তাদের পারিশ্রমিকের পুরোটা বুঝে পাননি। এই ব্যাপারটি স্বীকার করেছে বিসিবি। কিন্তু এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। মঙ্গলবার এক বিবৃতির মাধ্যমে এসব জানিয়েছে বিসিবি।

বিসিবি এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বললেও বিশ্বের নামি আর কোনো লিগে এ জাতীয় সমস্যা কখনও দেখা যায়নি। এ ধরনের খবর প্রকাশ বা ফিকার সর্বশেষ প্রতিবেদনেও আইপিএল, সিপিএল বা পিএসএলের মতো টুর্নামেন্টের নাম উঠে আসেনি।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে ফিকা জানিয়েছে, ৬টি টুর্নামেন্টে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে সমস্যা আছে। এর মধ্যে বিপিএল একটি। এসব টুর্নামেন্টের ৩৪ শতাংশ ক্রিকেটার তাদের পারিশ্রমিক বুঝে পাচ্ছেন না। ফিকার প্রতিবেদনে উঠে আসা ৬টি টুর্নামেন্টের মধ্যে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর একমাত্র লিগ বিপিএল।

চারজনের পারিশ্রমিক না পাওয়ার ব্যাপারটি দায় হিসেবে মানতে নারাজ বিসিবি। ফিকার প্রতিবেদন প্রকাশের পর নিজেদের অবস্থা পরিষ্কার করতে বিসিবি বিবৃতিতে বলেছে, 'বিসিবি স্পষ্টভাবে জানাতে চায়, বিপিএলে পাওনা সংক্রান্ত একমাত্র অমিমাসিংত সমস্যা হচ্ছে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত বিপিএলে অংশ নেওয়া একটি দলের তিনজন বিদেশি ক্রিকেটার ও একজন বিদেশি কোচের পাওনা। ১৭০ জনেরও বেশি দেশি-বিদেশি ক্রিকেটার ও সাপোন্টিং স্টাফ যে টুর্নামেন্টে চুক্তিবদ্ধ ছিল, সেখানে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।'

বিসিবির বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, 'চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে ক্রিকেটার ও কোচদের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে বিসিবি অভিযোগ পায় যে, এই ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের চুক্তি মানেনি এবং পারিশ্রমিক দেয়নি। চুক্তি অনুযায়ী চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফদের পাওনা পুরোপুরি পরিশোধ করা ফ্র্যাঞ্চাইজিরই দায়িত্ব।'

ফ্র্যাঞ্চাইজির দায়িত্ব হলেও বিসিবি এটাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে, 'নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বিসিবি এই বিষয়ের যথাযথ তদন্ত করেছে এবং পাওনা পরিশোধ ও সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও তাদের প্রতিনিধিরা বিসিবির পদক্ষেপ সম্পর্কে অবগত আছেন।'

ফিকার প্রতিবেদনের পর বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য জালাল ইউনুস দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছিলেন, ড্রাফটের বাইরে থেকে নেওয়া ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে এমন সমস্যা হতে পারে। তবে সেটা দুই-একজন ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে হতে পারে। তারা যদি বিসিবির কাছে অভিযোগ করেন, তবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জালাল ইউনুস।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.