প্রস্তুতি ম্যাচে তামিম-সাদমানের দারুণ ব্যাটিং
প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও বৃষ্টির হানা ছিল। যে কারণে দ্বিতীয় দিনের খেলা দেরিতে শুরু হয়। অনেক সময় চলে যাওয়ায় দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ হয়ে ওঠে ওয়ানডে। ৪৩ ওভারে ২০০ রানের লক্ষ্য দেওয়া হয় রায়াক কুক একাদশকে।
তামিম ইকবাল ও সাদমান ইসলামের দারুণ ব্যাটিংয়ে ওটিস গিবসন একাদশের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে মুমিনুল হকের দল। ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রায়ান কুক একাদশ।
সাড়ে ছয় মাস পর ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় থাকলেও প্রথম ম্যাচে বিশ্রামে ছিলেন তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নেমে দারুণ ব্যাটিং করলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। ৮০ বলে ১০টি ৬৪ রান করেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই ওপেনার।
ব্যাটিং স্টান্সের কাজ করতে থাকা সাদমান ইসলাম আরও ঝলমলে ব্যাটিং করেছেন। দ্রুতই নতুন স্টান্সে মানিয়ে নেওয়া বাঁহাতি এই ওপেনার ৯৯ বলে ৮টি চার ও একটি ছক্কায় খেলেছেন ৮৩ রানের দারুণ এক ইনিংস। নতুন স্টান্সেও তাকেও বেশ সাবলীল দেখিয়েছে।
উদ্বোধনী জুটিতে দলকে অনেকটা পথ এগিয়ে দেন তামিম-সাদমান। বাঁহাতি এই দুই ব্যাটসম্যান ১০৭ রানের জুটি গড়েন। তামিম ফেরার পর উইকেটে যান বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। দুই দিনের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মুমিনুল এদিন বেশি সময় টিকতে পারেননি। ১০ রান করে থামেন তিনি।
এরপর মুশফিকুর রহিমও টিকতে পারেননি। রুবেলের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ১১ রান করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। দলকে জেতানোর বাকি কাজটুকু সারেন ইয়াসির আলী রাব্বি ও মোহাম্মদ মিঠুন। ইয়াসির ২৪ ও মিঠুন ৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
আগের দিন রায়ান কুক একাদশের হয়ে আগুনঝরা বোলিং করেন তাসকিন আহমেদ। দারুণ ছন্দে থাকা ডানহাতি এই পেসার প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ৩ উইকেট নেন। আল আমিন হোসেন, খালেদ আহমেদ, সাইফউদ্দিনরাও ভালো বোলিং করেন।
ওটিস গিবসন একাদশের পেসাররা সেভাবে ব্যাটসম্যানদের মনে কাঁপন ধরাতে পারেননি। মুস্তাফিজুর রহমান ও এবাদত হোসেনকে সেভাবে বিধ্বংসী দেখায়নি। রুবেল হোসেন নেন এক উইকেট। স্পিনার নাঈম হাসান ২টি ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত একটি উইকেট নেন।
দুই দিনের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে মঙ্গলবার নিজ নিজ বাসায় ফিরেছেন ক্রিকেটাররা। যারা ঢাকার বাইরের, তারা উঠেছেন বিসিবির একাডেমি ভবনে। আগামী তিনদিন বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে ক্রিকেটারদের। করোনা পরীক্ষা করিয়ে ১০ অক্টোবর স্কিল ক্যাম্পে যোগ দেবেন ২৭ ক্রিকেটার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওটিস গিবসন একাদশ: ৭২ ওভারে ২৪৮/৮ (সাইফ ৭, ইমরুল ৫৯, শান্ত ২, মাহমুদউল্লাহ ৫৬, লিটন ৪৪, সৌম্য ২৬, মোসাদ্দেক ২৯*, নাঈম ৮, এবাদত ০, রুবেল ০*; তাসকিন ৩/৪২, সাইফউদ্দিন ১/৪২, খালেদ ০/৩১, আল আমিন ১/৩৬, তাইজুল ১/৭৬, মিঠুন ২/১০)।
রায়ান কুক একাদশ: (লক্ষ্য ৪৩ ওভারে ২০০) ৪১.৪ ওভারে ২০১/৪ (তামিম ৬৪, সাদমান ৮৩, মুমিনুল ১০, মুশফিক ১১, ইয়াসির ২৪*, মিঠুন ৫*; মুস্তাফিজ ০/৩৮, এবাদত ০/৪০, নাঈম ২/৪৯, রুবেল ১/৩৩, মাহমুদউল্লাহ ০/১৮, মোসাদ্দেক ১/২১)।