পানি টেনে মজা পাওয়া শরিফুল বুঝেছেন তাসকিনদের কষ্ট 

খেলা

টিবিএস রিপোর্ট
27 April, 2021, 05:45 pm
Last modified: 27 April, 2021, 05:54 pm
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের চূড়ান্ত দলে জায়গা হয় শরিফুল ইসলামের। একাদশে জায়গা না হলেও বিশ্বজয়ী যুব দলের এই সদস্যকে সাদা পোশাকের ফরম্যাটে বিবেচনায় রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। 

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের পর্বটা শেষ করার বেশিদিন হয়নি। এর মধ্যেই জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়ে গেছে শরিফুল ইসলামের। টেস্টের চূড়ান্ত দলেও জায়গা হয়েছে বাঁহাতি এই পেসারের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের একাদশে জায়গা না হলেও বিশ্বজয়ী যুব দলের এই সদস্যকে সাদা পোশাকের ফরম্যাটে বিবেচনায় রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। 

টেস্ট দলের সঙ্গে প্রথমবারের মতো সময় কাটছে শরিফুলের। পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের স্কোয়াডের ১৪তম ক্রিকেটার হিসেবে ম্যাচ চলাকালীন মাঠে ঢোকার সুযোগ হয়েছে তার। দলের ক্রিকেটাদের কাছে বার্তা পৌঁছানো, পানি পান করানোর কাজ করেছেন শরিফুল। 

এতো কাছ থেকে এই প্রথম টেস্ট ক্রিকেটের স্বাদ নিলেন তিনি। যা তার কাছে অমৃত লাগছে। পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটে পেসারদের কতোটা কষ্ট করতে হয়, সেটাও বুঝতে পেরেছেন শরিফুল। ক্যান্ডিতে বেশ গরম; এর মাঝেও তাসকিন, এবাতদের টানা বোলিং করার দৃশ্য শরিফুলের ভালো করার ক্ষুধা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

মঙ্গলবার দলীয় অনুশীলনের পর শরিফুল বলেন, 'প্রথমবারের মতো টেস্টে ১৪তম ক্রিকেটার ছিলাম। এতো কাছ থেকে টেস্ট ক্রিকেট আমি কখনও দেখিনি। আমার জন্য রোমাঞ্চিত ছিল। টেস্ট খেলাটা আসলে মজার খেলা। প্রতি সেশনে সেশনে অবস্থার পরিবর্তন হয়। একেকরকম ম্যাসেজ পাঠানো হয়। আমি খুব এক্সাইটেড ছিলাম। মনে হয়নি যে আমি ম্যাচের বাইরে আছি। মনে হয়েছে আমি ম্যাচের মধ্যেই আছি, সব সময় ইনফরমেশনের ভেতরেই ছিলাম।'

এটা করতে গিয়ে পেসারদের কষ্টটা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছেন শরিফুল। তিনি বলেন, 'টেস্ট খেলাটা একটু কঠিন। যে আবহাওয়ায় খেলা, অনেক রোদ ছিলো। পেস বোলারদের একটু পরপর পানি খাওয়ানো, তাদের সাথে কথা বলা, তাদের কাছ থেকে কিছু জানা। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছিল যেমন মজার আছে, তেমন ওদের কষ্টও আছে।'

প্রথম টেস্টের একাদশে সুযোগ পাওয়া তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহিদের নিবেদন দেখে অনুপ্রাণিত শরিফুল। বিশেষ করে ৩ উইকেট নেওয়া তাসকিনের বোলিংয়ে মুগ্ধ তিনি। দলে সুযোগ পেলে তরুণ এই ক্রিকেটারও নিবেদনের সবটা ঢেলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে চান।

শরিফুল বলেন, 'তাসকিন ভাই অনেক লম্বা স্পেল করেছেন। অনেক ওভার করছেন তাসকিন ভাই, এবাদত ভাই, রাহি ভাই। তাসকিন ও এবাদত ভাই অনেক জোরে বোলিং করেছেন। সেটা দেখে অনেক ভালো লেগেছে যে, এতো গরমেও টানা একই পেস দিয়ে জোরে বল করেছেন তারা। টেস্টে শতভাগ দিতে হয়। তারা চেষ্টা করছেন সেটা দেওয়ার। যদি আমি কখনও সুযোগ পাই, আমিও চেষ্টা করব শতভাগ দেওয়ার।'

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.