তামিম-শান্তদের ব্যাটিংয়ে উচ্ছ্বসিত প্রধান নির্বাচক
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দল এখন শ্রীলঙ্কায়। তিনদিন কোয়ারেন্টিনের পর দলীয় অনুশীলন শুরু করেন তামিম, মুমিনুল, মুশফিকরা। অনুশীলনের পর নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছেন প্রাথমিক দলে ডাক পাওয়া ২১ ক্রিকেটার।
এই ম্যাচে ব্যাট হাতে রানের দেখা পেয়েছেন তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিমরা। শ্রীলঙ্কার উইকেটে তামিম-সাইফদের এমন ব্যাটিং মনে ধরেছে বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর।
প্রথম ঘণ্টায় উইকেট কঠিন থাকার পরও তামিম-শান্তরা মানিয়ে নেন। তামিম ৬৩ ও সাইফ ৫২ রান করে স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন। নাজমুল হোসেন শান্ত হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন, মুশফিকুর রহিমও পেয়েছেন রানের দেখা। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের এমন ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করছেন দলের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা যাওয়া মিনহাজুল আবেদীন।
তিনি বলেন, 'উইকেটের যে কন্ডিশন ছিল, প্রথম ঘন্টায় ব্যাটিং করা কঠিন ছিল। আমাদের ওপেনার তামিম, সাইফরা অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। শান্ত, মুশফিক অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। বোলাররাও খুব চেষ্টা করেছে অভ্যস্ত হওয়ার জন্য। আমার বিশ্বাস এই প্র্যাকটিস ম্যাচ থেকে আমরা যথেষ্ট ভালো ফিডব্যাক পেয়েছি। আগামী দিন খেলা শেষ হওয়ার পর টেস্টের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি নিতে পারব।'
শ্রীলঙ্কায় প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজন খুবই জরুরি ছিল বলে জানান প্রধান নির্বাচক। তিনি বলেন, 'এটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমাদের খেলোয়াড়রা দুইদিন অনুশীলনের পরই এই প্র্যাকটিস ম্যাচটা পেয়েছে, এটা আমাদের জন্য যথেষ্ট উপকার হয়েছে। বিশেষ করে আবহাওয়া, কন্ডিশন সবকিছুর সাথে মানিয়ে নেয়ার জন্য।'
'আমার মনে হয় খেলোয়াড়রা যথেষ্ট অভ্যস্ত হয়েছে কন্ডিশন ও উইকেটের সাথে। যথেষ্ট ভালো প্র্যাকটিস হয়েছে। আমাদের টপ অর্ডাররা ভালো ব্যাটিং করেছে, বোলাররা যথেষ্ট চেষ্টা করেছে লাইন লেংন্থ ও ভালো জায়গায় বল করার। সব মিলিয়ে ভালো প্রস্তুতিতে সহায়তা করেছে, কাল আরও একদিনের খেলা আছে।' যোগ করেন প্রধান নির্বাচক
ব্যাটসম্যানরা ভালো করলেও বোলারদের কঠিন সময় গেছে। তামিম ইকবালের লাল দল কোনো উইকেট না হারিয়েই চা বিরতি পর্যন্ত ২০৪ রান তোলে। এ নিয়ে মিনহাজুল আবেদীন বলেন, 'বোলারদের জন্য খুব কঠিন একটা সেশন গিয়েছে। যে উইকেট ও কন্ডিশন, বাউন্স যথেষ্ট ভালো, যেহেতু এটা অনেকটা ফ্ল্যাট ট্র্যাকের মতো।'
টেস্টের উইকেট এমন হবে বলেই মনে করছেন প্রধান নির্বাচক, 'হয়তো টেস্টেও এ রকম কন্ডিশন হতে পারে, এই গরমের মধ্যে ভালো জায়গায় বল করা, মনোযোগ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আরও একটা দিন বাকি আছে ম্যাচ প্র্যাকটিসে অভ্যস্ত হওয়ার জন্য। আমার বিশ্বাস আমাদের বোলাররা খুব তাড়াতাড়ি অভ্যস্ত হতে পারবে, টেস্ট ক্রিকেটের আগে প্রস্তুতির জন্য এটা যথেষ্ট কাজে লাগবে।'
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে । প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২১ এপ্রিল। দ্বিতীয় টেস্ট মাঠে গড়াবে ২৯ এপ্রিল। এই মাঠে এবারই প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।