জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশের প্রথম হার
জিম্বাবুয়ে সফরে উড়ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টেস্ট, ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি; সবখানেই রাজত্ব চলছিল বাংলাদেশের। একমাত্র টেস্ট জয়ের পর ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের হোয়াইওয়াশ করে সফরকারীরা। টি-টোয়েন্টির শুরুটাও হয় দাপুটে। সেই বাংলাদেশই সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অচেনা হয়ে উঠলো। ব্যাটে-বলে অপরিপক্কতার ছাপ রেখে হেরে গেল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।
শুক্রবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বাংলাদেশকে ২৩ রানে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ওয়েসলে মাধেভেরে, ডিওন মায়ার্স ও রায়ান বার্লের ব্যাটে ৬ উইকেটে ১৬৬ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। জবাবে শুরু থেকেই উল্টো পথে হাঁটা বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৪৩ রানে। পাঁচ বছর পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হারলো বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১৬ সালে এই ফরম্যাটে জিম্বাবুয়ের হেরেছিল বাংলাদেশ।
১৬৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে চরম বাজে শুরুর পরও বিভিন্ন সময়ে আশা জেগেছিল। দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকারের দ্রুত বিদায়ের পর সাকিব আল হাসান ও মাহেদী হাসান ইনিংস গুছিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েও পারেননি। তাদের বিদায়ের পর দ্রুত উইকেট পতনে দিক হারায় বাংলাদেশ। এরপর ১৩ বলে ২৯ রান করা অভিষিক্ত শামীম হোসেন পাটোয়ারী আশা জাগিয়েও বিদায় নেন। পরে আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনদের লড়াই কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছে।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আঘাত হানেন ব্লেসিং মুজারাবানি। দলীয় ১৪ রানে নাঈমকে ফিরিয়ে দেন জিম্বাবুয়ের এই পেসার। এই ওভারের চতুর্থ বলে সৌম্যকেও সাজঘর দেখিয়ে দেন তিনি। দিক হারা দলকে পথ দেখানোর চেষ্টা করেন সাকিব আল হাসান ও মাহেদী হাসান। মনে হয়ছিল তারা গুছিয়ে নিয়েছেন। সাকিবের বিদায়ের পর ওলট-পালট হয়ে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস।
১২ রান করে সাকিব বিদায় নেওয়ার পর আউট হন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরপর থামেন ১৫ রান করা মাহেদী। নুরুল হাসান সোহানও পারেননি দলের বিপদে ব্যাট চালাতে। শামীম হোসেন উইকেটি গিয়ে কয়েক বল দেখার পর ঝড় তোলেন। যদিও তার ১৩ বলে ৩টি চার ও দুই ছক্কায় করা ২৯ রান যথেষ্ট হয়নি।
এরপর আফিফ ২৫ রান করে আউট হন। শেষ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করা সাইফউদ্দিনের ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। জিম্বাবুয়ের লুক জঙ্গুয়ে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ৩টি করে উইকেট নেন। এ ছাড়া টেন্ডাই চাতারা ও ব্লেসিং মুজারাবানি ২টি করে উইকেট নেন।
এরআগে বোলিং-ফিল্ডিংয়ে সেরা পারফরম্যান্স করতে পারেনি বাংলাদেশ। এতে লক্ষ্যও ছোট থাকেনি। জীবন পেয়ে দারুণ এক ইনিংস খেলেন ওয়েসলে মাধেভেরে। পরে ডিওন মায়ার্স ও রায়ান বার্ল অনেকটা পথ এগিয়ে দেন দলকে।
৫৭ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭৩ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন মাধেভেরে। এ ছাড়া রেজিস চাকাভা ১৪, মায়ার্স ২৬ ও বার্ল ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশের বাঁহাতি তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম ৩টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন মাহেদী হাসান ও সাকিব আল হাসান।