জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক ফিফা ও উয়েফা সভাপতি 

খেলা

টিবিএস ডেস্ক
03 November, 2021, 05:10 pm
Last modified: 03 November, 2021, 05:12 pm
সুইজারল্যান্ডের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস তাদের অভিযোগে বলেছে, ২০১১ সালে সভাপতি থাকাকালে ব্লাটার ফিফার তহবিল থেকে ২০ লাখ সুইস ফ্রাঁ (প্রায় ১৯ কোটি টাকা) পাচার করেছিলেন প্লাতিনির একাউন্টে।  

জালিয়াতি ও অন্যান্য দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক ফিফা সভাপতি সেপ ব্লাটার ও সাবেক উয়েফা সভাপতি মিশেল প্লাতিনিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে সুইজারল্যান্ডে। 

সুইজারল্যান্ডের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস (ওএজি) তাদের অভিযোগে বলেছে, ২০১১ সালে সভাপতি থাকাকালে ব্লাটার ফিফার তহবিল থেকে ২০ লাখ সুইস ফ্রাঁ (প্রায় ১৯ কোটি টাকা) পাচার করেছিলেন প্লাতিনির একাউন্টে।  

এখন সুইজারল্যান্ডের বেলিনজোনার একটি আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে ব্লাটার ও প্লাতিনিকে। দোষী সাব্যস্ত হলে এই যুগলের কয়েক বছরের জেল বা জরিমানা হতে পারে। 
 
এই মামলাটি খোলা হয়েছিল ২০১৫ সালে, যখন একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে টালমাটাল হয়ে উঠেছিল ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। 
 
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ফিফার নীতিশাস্ত্র কমিটি পরে এই যুগলকে তাদের পদ ছাড়তে বাধ্য করে এবং দুজনকেই ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। 
 
এই ঘটনার কারণেই ফিফা সভাপতি হিসেবে ব্লাটারের ১৭ বছরের রাজত্বের অবসান ঘটে, সাথে সাথে অবসান ঘটে প্লাতিনির ফিফা সভাপতি হওয়ার স্বপ্নেরও। 
 
৮৫ বছর বয়সী ব্লাটার ও ৬৬ বছর বয়সী প্লাতিনি উভয়ই এ অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন। 

ব্লাটার এবং প্লাতিনি ছিলেন বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দুই ব্যক্তিত্ব। ফুটবলের সবচেয়ে বড় দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান হিসেবে তাদের ভূমিকা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে ফুটবলকে। 
 
একটা বড় সময় ব্লাটারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা প্লাতিনিকে দেখা হচ্ছিল ব্লাটারের উত্তরসূরি হিসেবে। ২০১৫ সালে ব্লাটার পদত্যাগ করার পর ফিফার সভাপতি পদের জন্য প্রচারণাও শুরু করেছিলেন এই সাবেক ফরাসি ফুটবলার। 
কিন্তু যখন তার নামেও দুর্নীতির অভিযোগ আসতে শুরু করে তখন স্বেচ্ছায় প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন প্লাতিনি। 
 
পরবর্তীতে ফিফার নীতিশাস্ত্র কমিটি দুজনকেই আট বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়। যদিও ব্লাটারের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা পরে কমিয়ে ছয় বছর ও প্লাতিনির ক্ষেত্রে চার বছরে নিয়ে আসা হয়। 
 
সূত্র: বিবিসি। 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.