শরিফুলে একটু স্বস্তি
প্রথম সেশন পেরিয়ে দ্বিতীয় সেশন, তৃতীয় সেশনেও খেলে যাচ্ছিলেন দুই লঙ্কান ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও লাহিরু থিরিমান্নে। এই দুই ব্যাটসম্যানের সামনে কিছুই করতে পারছিলেন না বাংলাদেশের বোলাররা। অবশেষে অভিষিক্ত শরিফুল ইসলাম কিছুটা স্বস্তি ফেরালেন। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে বাঁহাতি এই পেসার ফিরিয়ে দিলেন করুনারত্নেকে।
শরিফুলের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম শিকারে পরিণত হওয়ার আগে সেঞ্চুরি তুলে নেন লঙ্কান অধিনায়ক। ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরি করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ১৯০ বলে ১৫টি চারে ১১৮ রান করে আউট হন। থিরিমান্নের সঙ্গে উইকেটে যোগ দিয়েছেন ওশাদা ফার্নান্দো। ৬৫ ওভার শেষে ১ উইকেটে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২১৩ রান। ১৯৬ বলে ১০টি চারে ৯৩ রানে অপরাজিত আছেন থিরমান্নে।
করুনারত্নের সেঞ্চুরি, দ্বিতীয় সেশনও শ্রীলঙ্কার
ব্যাট হাতে শাসন করে চলেছেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও লাহিরু থিরিমান্নে। প্রথম সেশনে দাপট দেখানো এই দুই ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় সেশনও নিজেদের করে নিয়েছেন। তাদের ব্যাটে ৫৮ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ১৮৮ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। ৩১ ওভারের দ্বিতীয় সেশনে ১২২ রান যোগ করেছেন করুনারত্নে-থিরিমান্নে।
আগের টেস্টে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করা করুনারত্নে এই টেস্টেও ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা বইয়ে দিয়েছেন। লঙ্কান অধিনায়ক তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি। ১৭৫ বলে ১৩টি চারে ১০৬ রানে অপরাজিত আছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
তার উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী থিরিমান্নেও সেঞ্চুরির পথে। ১৭৪ বলে ৮টি চারে ৮০ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। প্রথম সেশনে আউটের সম্ভাবনা তৈরি করলেও দ্বিতীয় সেশনে তেমন বোলিং করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা।
উইকেটবিহীন প্রথম সেশন
পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে প্রথম ব্যাটিং করছে শ্রীলঙ্কা। ব্যাট হাতে দারুণ শুরু করেছেন দুই লঙ্কান ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও লাহিরু থিরিমান্নে। এই দুই ব্যাটসম্যানই প্রথম সেশন কাটিয়ে দিয়েছেন।
তাদের ব্যাটে ২৭ ওভারের প্রথম সেশনে ৬৬ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। দুজনই প্রায় একই ছন্দে ব্যাটিং করে যাচ্ছেন। অধিনায়ক করুনারত্নে ৮৫ বলে ৫টি চারে ৩২ রানে অপরাজিত আছেন। থিরিমান্নে ৭৮ বলে ৪টি চারে ৩২ রানে অপরাজিত আছেন।
প্রথম সেশনে উইকেট পেতেও পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু নিজেদের ভুলেই তা হয়নি। ২০তম ওভারে দুটি সুযোগ তৈরি করেন দারুণ বোলিং করতে থাকা আসা তাসকিন আহমেদ। প্রথম টেস্টে তিন উইকেট নেওয়া ডানহাতি এই পেসার সুযোগ তৈরি করলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের ফিল্ডাররা।
২০তম ওভারের তৃতীয় বলে সুযোগ তৈরি হয়। যদিও করুনারত্নের তোলা ক্যাচ নিতে পারেননি মুমিনুল হক। একটু কঠিন থাকায় ক্যাচ নেওয়ার চেষ্টাই করেননি তিনি।
ওভারের শেষ বলে দারুণ এক ডেলিভারিতে করুনারত্নেকে স্লিপে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তাসকিন। এবারও বেঁচে যান লঙ্কান অধিনায়ক। তার তোলা সহজ ক্যাচ ফেলে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৮ রানে ব্যাটিং করা করুনারত্নে এক ওভারেই দুইবার বেঁচে যান।