অন্ধকারে ঘরোয়া ক্রিকেট
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু করা হয়েছিল জাতীয় ক্রিকেট লিগ। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপে দুই রাউন্ড পরই লঙ্গার ভার্সনের টুর্নামেন্টটি স্থগিত করতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দ্বিতীয় রাউন্ডের পর বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছুদিনের জন্য টুর্নামেন্টটি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি।
করোনার প্রকোপ কমার তেমন কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো হু হু করে বেড়েই চলছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তাই সহসাই শুরু হচ্ছে না জাতীয় লিগ। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ভাগ্যও অন্ধকারে পড়ে গেছে। আগামী মে মাসে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও টুর্নামেন্টটি আয়োজন করা হবে না বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
কেবল জৈব সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করতে পারলেই প্রিমিয়ার লিগ শুরুর ব্যাপারে ভাবা হবে। তবে এই মুহূর্তে প্রিমিয়ার লিগ শুরু করার কোনো সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন না নাজমুল হাসান। শনিবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে তিনি বলেন, 'এখন যে পরিস্থিতি আছে, এ রকম পরিস্থিতিতে প্রিমিয়ার লিগ শুরু করা কঠিন। এ রকম অবস্থায় প্রিমিয়ার লিগ শুরু করা মোটেও ঠিক হবে না।'
'যতক্ষণ পর্যন্ত বায়ো বাবল নিশ্চিত করতে না পারব, ততক্ষণ পর্যন্ত লিগ শুরু করার কোনো সম্ভাবনা নেই। সেটা একটা দিন হোক বা ১০ দিন হোক। যদিও বিসিবি চেষ্টা করে যাচ্ছে। টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্টরা যদি আমাকে বুঝিয়ে সন্তুষ্ট করতে পারে যে বায়ো বাবলে রেখে খেলা চালাতে পারবে, তাহলে শুরু করতে পারবে। তবে এখন সম্ভাবনা খুবই কম।'
গত ১৪ মার্চ প্রিমিয়ার লিগ শুরুর ঘোষণা দিয়েছিল বিসিবি। ক্রিকেট কমিটি অব মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ জানিয়েছিলেন, আগামী ৬ মে শুরু হবে প্রিমিয়ার লিগ। আসরটির নাম প্রিমিয়ার লিগ থাকলেও ফরম্যাটে পরিবর্তন আসার কথা ছিল। এতোদিন ওয়ানডে ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হওয়া আসরটি এবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হওয়ার কথা ছিল।