গ্রেনেড হামলা মামলার পেপার বুক আসছে ২ থেকে ৪ মাসের মধ্যেই: আনিসুল

বাংলাদেশ

বাসস রিপোর্ট
21 August, 2019, 06:30 pm
Last modified: 25 August, 2019, 04:23 am
সরকার তারেক রহমানসহ বর্বরোচিত ওই হামলার ঘটনায় দুটি মামলার পলাতক সকল আসামিকে বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে...

আইন, বিচার সংসদীয় বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, উচ্চ আদালতে জেল আবেদন ডেথ রেফারেন্সের শুনানীর জন্য সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার পেপার বুক প্রস্তুত করছে। দুই থেকে চার মাসের মধ্যে এটা প্রস্তুত হবে।
তিনি বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করতে উচ্চ আদালতে ডেথ রেফারেন্সের উপর শুনানির প্রয়োজন। এই রুলে আবেদকারীদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া যাবে। ডেথ রেফারেন্সের উপর শুনানির আগে পেপার বুকের প্রয়োজন এবং এটি প্রস্তুত হচ্ছে। দুই থেকে চার মাসের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হবে। এরপর মামলাটি শুনানির জন্য তালিকাভূক্ত হবে।
আজ রাজধানীর সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী একথা বলেন।
আনিসুল হক আরও বলেন, “সরকার তারেক রহমানসহ ২০০৪ সালের বর্বরোচিত ওই হামলার ঘটনায় দুটি মামলার পলাতক সকল আসামিকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করি সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সম্ভাব্য অল্প সময়ের মধ্যেই সকল পলাতক আসামিকে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হবে।”
এদিকে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম মঙ্গলবার বলেন, মামলা দুটির পেপারবুক প্রস্তুত হলেই তারা শুনানির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তিনি বাসসকে বলেন, “ ব্যাপারে আমি নিজেই পদক্ষেপ নিব এবং প্রয়োজন হলে শুনানির জন্য আবেদন জানাব।”
এর আগে ১৩ জানুয়ারি উচ্চ আদালত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দুটি মামলার শুনানির আবেদন আমলে নেন। ঢাকার একটি আদালত ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুবুনালের বিচারক শাহেদ নূরুদ্দিন তারেক আরও ১৮ জনকে এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং লুৎফজ্জামান বাবর সাবেক উপ-মন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু কয়েকজন সাবেক সেনা গোয়েন্দা কর্মকর্তাসহ ১৯ জনকে ফাঁসির রায় প্রদান করেন।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.