ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী পুতিন

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
28 May, 2022, 10:15 pm
Last modified: 28 May, 2022, 10:23 pm
ফ্রান্স ও জার্মানির সরকার প্রধানদের সাথে টেলিফোন সংলাপে পুতিন বলেছেন, “খাদ্যশস্যের বাধামুক্ত সরবরাহের উপায় খুঁজে বের করতে রাশিয়া প্রস্তুত; যার মধ্যে কৃষ্ণসাগরের বন্দর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির বিষয়টিও রয়েছে।”

ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি পুনরায় শুরু করার বিষয়ে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ শনিবার (২৮ মে) ফ্রান্স ও জার্মানির সরকার প্রধানদের সাথে টেলিফোন সংলাপে কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো দিয়ে ইউক্রেনের রপ্তানির বিষয়ে তিনি একথা জানিয়েছেন। পুতিনের আগ্রহের কথা নিশ্চিত করেছে ক্রেমলিন।  

যুদ্ধের আগে বিশ্বের মোট গম সরবরাহের প্রায় একতৃতীয়াংশ করতো রাশিয়া ও ইউক্রেন। রাশিয়া অন্যতম প্রধান সার রপ্তানিকারক। আবার ইউক্রেন ভুট্টা ও সুর্যমুখী তেলের বড় রপ্তানিকারক। যুদ্ধ দেশগুলি থেকে সরবরাহে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করেছে। তাতে বহুগুণে বেড়েছে বৈশ্বিক খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো খাদ্যের অভাবে স্বল্পোন্নত দেশে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কাও করছে। 

এ বাস্তবতায় ক্রেমলিন পুতিনের বক্তব্য তুলে ধরেছে। পুতিন বলেছেন, "খাদ্যশস্যের বাধামুক্ত সরবরাহের উপায় খুঁজে বের করতে রাশিয়া প্রস্তুত; যার মধ্যে কৃষ্ণসাগরের বন্দর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির বিষয়টিও রয়েছে।"

পুতিন তার প্রতিপক্ষ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ও জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজকে আরও জানিয়েছেন যে, রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলে, দেশটি সারসহ অন্যান্য কৃষি পণ্য রপ্তানি বাড়াবে। সম্প্রতি ইতালি ও অস্ট্রিয়ার সরকার প্রধানদের সাথে আলোচনাকালেও পুতিন এ দাবি করেন। 

ইউক্রেনসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়ে বৈশ্বিক খাদ্য সংকট সৃষ্টি করেছে রাশিয়া এবং এখন এই সংকটকে নিজ উদ্দেশ্যসাধনের হাতিয়ার বানিয়েছে। এতে বিশ্বব্যাপী জনমানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। 

অন্যদিকে, রাশিয়া সম্পূর্ণ পরিস্থিতির জন্য পশ্চিমাদের দেওয়া নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করেছে। বন্দর উপকূলে ভাসমান মাইন স্থাপন করে রপ্তানি ব্যাহত করার জন্য ইউক্রেনকেও দোষ দিয়েছে। 

ক্রেমলিন আরও জানিয়েছে, পুতিন এখন ইউক্রেনের সাথে আলোচনা পুনরায় শুরু করতেও ইচ্ছুক।

ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়, "কিয়েভের অসহযোগিতার কারণে আলোচনা বন্ধ হয়ে যায়, এটি শুরু করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব-সহকারে আলোচনা হয়েছে। এবিষয়ে মাখোঁ ও শলৎজকে  রাশিয়ার আন্তরিক ইচ্ছার কথাও জানান পুতিন।"


  • সূত্র: রয়টার্স 

 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.