রুবলে গ্যাস কিনছে ১০ ইউরোপীয় দেশ, দাবি হাঙ্গেরির

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
02 May, 2022, 10:30 am
Last modified: 02 May, 2022, 10:43 am
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের চিফ অফ স্টাফ দাবি করেন, একজন ভাল ইউরোপীয় নেতা হতেই তারা (১০ ইউরোপীয় দেশের নেতা) রুবলে গ্যাস আমদানির বিষয়টি স্বীকার করছেন না।

ইউক্রেন আগ্রাসনের পর রাশিয়ার প্রতি বন্ধুসুলভ নয় এমন দেশগুলোকে রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনার অর্থ রুবলে (রুশ মুদ্রা) পরিশোধের নির্দেশনা দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার এই ঘোষণার পর ইউরোপের অন্তত ১০টি দেশ রুবলে রাশিয়া থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করছে বলে দাবি করেছেন হাঙ্গেরির এক কর্মকর্তা। 

রোববার পাবলিক রেডিওতে এক সাক্ষাৎকারে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের চিফ অফ স্টাফ গারগেলি গালিয়াস দাবি করেন, একজন ভাল ইউরোপীয় নেতা সাজতেই তারা (১০ ইউরোপীয় দেশের নেতা) রুবলে গ্যাস আমদানির বিষয়টি স্বীকার করছেন না।

গালিয়াস জানান, হাঙ্গেরি ইতোমধ্যে রাশিয়ার গ্যাজপ্রমব্যাংকে একটি ইউরো অ্যাকাউন্ট খুলেছে। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস কেনার অর্থ সরবরাহকারীদেরকে রুবলে রূপান্তর করে পরিশোধ করা হবে। এর মাধ্যমে মার্চের শেষের দিকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের দেওয়া ঘোষণা বাস্তবায়ন হলো। 

তিনি বলেন, "অন্য নয়টি দেশ একইভাবে রাশিয়ার গ্যাসের মূল্য পরিশোধ করছে। কিন্তু আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বা দেশের জনগণের কাছে একজন ভালো ইউরোপীয় হতে, সেই ৯ দেশের নেতারা স্বীকার করছে না যে তারা একই কাজ করছে।" 

তবে গালিয়াস ঠিক কোন ইইউ দেশগুলোকে ইঙ্গিত করেছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা গ্যাজপ্রম ইতোমধ্যেই পোল্যান্ড এবং বুলগেরিয়াতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেছে। উভয় দেশই পুতিনের ঘোষণা অনুযায়ী রুবলে গ্যাসের দাম পরিশোধের বিষয়টিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। এরপরেই গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করে দেয় রাশিয়া। 

গেল সপ্তাহে ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ব্লকের ১০ সদস্য রাষ্ট্র ইতোমধ্যেই গ্যাজপ্রমব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে। এবং ৪ দেশ এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করে রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানির অর্থও পরিশোধ করেছে। 

হাঙ্গেরি মূলত গ্যাস আমদানির জন্য সম্পূর্ণভাবেই রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। এ কারণেই গুরুত্বপূর্ণ এই পণ্যটির ওপর ইইউ'র নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছিল দেশটি। রোববার গালিয়াস আবারও রাশিয়ার জ্বালানির ওপর ব্রাসেলসের নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করেন।

"আমাদের অবশ্যই এমন নিষেধাজ্ঞা গ্রহণ করা উচিত নয়, যার মাধ্যমে আমরা যাদেরকে শাস্তি দিতে চাই তাদের বদলে নিজেদেরকেই শাস্তি দিয়ে ফেলি", যোগ করেন তিনি। 


 

  • সূত্র: আরটি নিউজ

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.