‘মিথ্যুক ও আইন ভঙ্গকারী’: বরিস জনসনের পার্টিগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের তুলকালাম

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
13 April, 2022, 04:30 pm
Last modified: 13 April, 2022, 04:32 pm
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বের এই জরিমানা গোনার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোতে।

ছবি: সংগৃহীত

২০২০ সালের জুনে করোনাজনিত কঠোর লকডাউন চলছিল ব্রিটেনে। ওই সময় করোনাকালীন বিধিনিষেধ ভেঙে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আর এ অপরাধে বরিস জনসন, তার স্ত্রী ক্যারি জনসন ও অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাককে জরিমানা করেছে পুলিশ। 

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বের এই জরিমানা গোনার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোতে। প্রায় সবগুলো শীর্ষস্থানীয় ব্রিটিশ সংবাদপত্রেই প্রথম পাতায় স্থান করে নিয়েছে এ খবর।

প্রথম সারির দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান-এর প্রথম পাতায় বরিস ও ঋষি সুনাকের পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকার ছবিসহ একটি খবর ছাপা হয়েছে। খবরের শিরোনাম: 'প্রধানমন্ত্রী: আমি নিজেই নিজের আইন ভেঙেছি, তা সত্ত্বেও পদত্যাগ করব না'। 

ছবি: সংগৃহীত

আরেক শীর্ষস্থানীয় দৈনিক মিরর লিখেছে, এ পর্যন্ত সরকার-সংশ্লিষ্ট ৫০ জনকে জরিমানার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পত্রিকাটির প্রথম পাতায় ছাপা সংবাদের শিরোনাম: 'নেতৃত্ব দিচ্ছেন মিথ্যুক ও আইন ভঙ্গকারীরা'।

আরেক দৈনিক মেট্রো-র প্রথম পাতায় ছাপা সংবাদের শিরোনাম—'১০ নং পার্টিগেট কলঙ্ক: আইন ভেঙেছেন প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী'।

ছবি: সংগৃহীত

দ্য ফিন্যানশিয়াল টাইমস লিখেছে: 'কোভিডের বিধিনিষেধ ভাঙার জন্য জরিমানায় জনসন ও সুনাকের অপর চাপ বাড়ল'। 

ছবি: সংগৃহীত

আরেক দৈনিক আই-এর প্রথম পাতায় ছাপা সংবাদের শিরোনাম: 'পদত্যাগে নারাজ প্রধানমন্ত্রী—এবং পার্টির জন্য জরিমানার মুখোমুখি'।

দ্য টাইমসের খবরের শিরোনাম: 'লকডাউন পার্টির জরিমানাকাণ্ডে পদত্যাগ করতে নারাজ জনসন'।

ছবি: সংগৃহীত

দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ বরিস জনসনের বক্তব্য উদ্ধৃত করে শিরোনাম করা হয়েছে: 'মানুষের এরচেয়ে ভালো কিছু আশা করার অধিকার আছে'।

অন্যদিকে ডেইলি মেইল বরিস জনসনকে সমর্থন দিয়ে তার সমালোচকদের বিরুদ্ধে লিখেছে: 'তারা কি জানে না যে একটা যুদ্ধ চলছে?' পত্রিকাটি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে আরও লিখেছে: 'বরিস ওখানে মাত্র নয় মিনিট ছিলেন। ক্যারি ছিলেন পাঁচ মিনিটেরও কম…'


  • সূত্র: গার্ডিয়ান

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.