লন্ডনে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিক্ষিকা খুন

আন্তর্জাতিক

টিবিএস রিপোর্ট 
23 September, 2021, 09:25 pm
Last modified: 23 September, 2021, 09:46 pm
১৭ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে আটটার আগে সাবিনা নেসা (২৮) নামের এই শিক্ষিকা তার দক্ষিণ লন্ডনের বাসা ত্যাগ করেন এবং কিটব্রুক গ্রামের পেগলার স্কয়ারে দ্য ডিপো বারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন, যে রাস্তায় পড়ে ক্যাটার পার্ক। তিনি কখনই তার গন্তব্যে পৌঁছাননি। পরদিন বিকেলে পার্কে তার লাশ পাওয়া যায়।

লন্ডনের একটি পার্কে নিহত অবস্থায় পাওয়া গেছে একজন ব্রিটিশ-বাংলাদেশী শিক্ষিকাকে। আজ (২৩শে সেপ্টেম্বর) লন্ডন পুলিশ জানিয়েছে, বাসা থেকে পাঁচ মিনিটের হাঁটা দূরত্বে একজন বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় খুন হয়েছেন তিনি। 

১৭ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে আটটার আগে সাবিনা নেসা (২৮) নামের এই শিক্ষিকা তার দক্ষিণ লন্ডনের বাসা ত্যাগ করেন এবং কিটব্রুক গ্রামের পেগলার স্কয়ারে দ্য ডিপো বারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন, যে রাস্তায় পড়ে ক্যাটার পার্ক।

তিনি কখনই তার গন্তব্যে পৌঁছাননি। পরদিন বিকেলে পার্কে তার লাশ পাওয়া যায়।

এই হত্যাকাণ্ড তদন্তে নেতৃত্বদানকারী গোয়েন্দা পরিদর্শক জো গ্যারিটি বলেন, "সাবিনার যাত্রার জন্য মাত্র পাঁচ মিনিটের মতো লাগার কথা ছিল। কিন্তু সে কখনোই তার গন্তব্যে পৌঁছায়নি।"

তদন্তে সহযোগিতার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, "আপনাদের কারো যদি মনে হয়, শুক্রবার সন্ধ্যায় পার্কের আশেপাশে সাবিনাকে দেখেছেন, বা সন্দেহজনক কোনো আচরণ দেখেছেন তাহলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।"

সোমবার করা  ময়নাতদন্ত থেকেও নির্দিষ্ট কিছু উঠে আসেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সাবিনা নেসা এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে হেঁটে যাওয়ার সময় কোনো অপরিচিত ব্যক্তির হাতে নিহত হয়েছেন কিনা- তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মনে করছেন, গত শুক্রবার তার এস্টেল রোডের বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরপরই তাকে আক্রমণ করা হয়েছিল।

সাবিনার মৃতদেহ পাওয়া যাওয়ার পরের দিন ৪০ বছর বয়সী একজনকে হত্যা সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

তাঁর মৃত্যু নিয়ে যেদিন পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করেছে, সেদিন সকালেই লন্ডনের মেয়র সাদিক খান নারীর প্রতি সহিংসতাকে একটি জাতীয় "মহামারি" হিসেবে ঘোষণা দেন।

খান বলেন, "গত বছরের আন্তর্জাতিক নারী দিবস এবং এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মধ্যের সময়ে সারা দেশে পুরুষদের হাতে ১৮০ জন নারী নিহত হয়েছেন। মেয়ে ও নারীদের উপর সহিংসতায় আমাদের এখানে একটি মহামারি চলছে।"

তিনি নারীর প্রতি সহিংসতাকে সন্ত্রাস-বিরোধী কর্মকাণ্ডের মতোই অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান।

পুলিশ এখনও সাবিনার ওপর হামলার কোন উদ্দেশ্য খুঁজে বের করতে পারেনি। এই হত্যাকাণ্ডটি এলাকার অন্য কোনো ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত বলেও মনে করছেন না তারা। 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.