লকডাউনে জনদুর্ভোগের জন্য ক্ষমা চাইলেন মোদি

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
29 March, 2020, 01:25 pm
Last modified: 29 March, 2020, 07:25 pm
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু কঠিন সিদ্ধান্তের কারণে সাধারণ জনতা যে দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন তার জন্য আমি জাতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি। তবে আপনাদের নিরাপত্তার স্বার্থেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি ছিল। 

টানা তিন সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের পঞ্চম দিনে জাতির কাছে জনদুর্ভোগের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লকডাউনের কারণে রাজধানী দিল্লিতে ঘরমুখো হাজার হাজার অভিবাসী শ্রমিকের ভিড় এবং তাদের দুর্ভোগ নিয়ে তীব্র সমালোচনার পর তিনি এ নিয়ে অনুশোচনাও প্রকাশ করেন। 

রোববার নিজের জনপ্রিয় বেতার অনুষ্ঠান 'মান কি বাত' এর মাধ্যমে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে এসব কথা বলেছেন। 

মোদি বলেন, জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষার কথা ভেবে নেওয়া কিছু কঠিন পদক্ষেপে সাধারণ মানুষ যে দুর্গতিতে পড়েছেন আমি তার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইছি। তবে আপনাদের নিরাপত্তার স্বার্থেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি ছিল। 

এসময় তিনি বলেন, যারা লকডাউন মানছেন না তারা নিজেদের জীবন নিয়ে খেলছেন। সবাই হয়তো ভাবছেন আমি কোন ধরনের প্রধানমন্ত্রী... কিন্তু লকডাউন আমাদের সামনে থাকা একমাত্র সমাধান। অনেকেই লকডাউন অমান্য করছেন। এটা দুঃখজনক। সারা বিশ্বেই এমন ভুল করে চলেছেন বহু মানুষ। খবর এনডিটিভির। 

এদিকে মোদি এমন সময় এই ভাষণ দিলেন যখন দিল্লি থেকে মধ্যপ্রদেশ পায়ে হেঁটে ফিরতে গিয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন এক অভিবাসী শ্রমিক। প্রখর রোদের তাপ মাথায় নিয়ে এভাবে আরও বহু মানুষ দীর্ঘপথ পাড়ি দিচ্ছেন। 

এনিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীসহ দেশটির অনেক বিরোধীদলীয় নেতা ও সমাজের  প্রতিনিধিরা মোদির অপরিকল্পিত লকডাউনের সমালোচনা করেছেন। 

তবে পরিস্থিতির বাস্তবিক গুরুত্ব একেবারে ফেলে দেওয়ার মতো নয়। 

সর্বশেষ পাওয়া খবরে ভারতে এক হাজার ৩৭ ব্যক্তির দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানানো হয়। আর মারা গেছেন ২৫ জন। 

এই পরিস্থিতিতে লকডাউন মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা সকলকে মনে করিয়ে দিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.