যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বর্ণবাদ বিরোধী মিছিলে জনজোয়ার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রে চলমান বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন। গতকাল শনিবার রাজধানী ওয়াশিংটনসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহরে লাখো জনতা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেয়।
সমাবেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদী বৈষম্য এবং কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অমূলক সহিংসতার অবসান দাবি করা হয়েছে।
পুলিশি নির্যাতনে মিনিয়াপোলিস শহরে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর সৃষ্ট আন্দোলনের ১২তম দিনে এসব ঘটনা ঘটে।
এদিন লিঙ্কন মেমোরিয়াল থেকে হোয়াইট হাউজ অভিমুখে এক মিছিলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি জনতা অংশ নেয়। বর্ণবাদবিরোধী চলমান আন্দোলনে এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কোনোস্থানেই এতবড় মিছিল লক্ষ্য করা যায়নি। খবর নিউ ইয়র্ক টাইমসের।
ওয়াশিংটনের বাইরে গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রধান জনবহুল শহর নিউইয়র্ক, আটলান্টা, ফিলাডেলফিয়া, শিকাগো, লস এঞ্জেলস,সান ফ্রান্সিসকো, বোস্টন এবং মিয়ামিতেও রেকর্ডসংখ্যক সংখ্যক মানুষ মিছিল করেছে।
নগর কেন্দ্র থেকে দূরে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রামীণ অনেক অঞ্চলেও বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে।
হোয়াইট হাউজের কাছেই বসবাসকারী ওয়াশিংটন নগরীর এক বাসিন্দা জামিলা মুহাইমেন বলেন, আমার মনে হচ্ছে পৃথিবীকে বদলে দিতে চলেছে এই আন্দোলন। আমিও এই ইতিহাস এবং জমায়েতের অংশ হতে চাই।'
অপেক্ষাকৃত ছোটখাট প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ভিডরো, মন্টানার হাভরে এবং ওহিও'র ম্যারিওনের মতো ছোট শহরগুলোতে।
এদিকে রাজপথে জনতার এই ঢল নিয়ে রীতিমত সন্ত্রস্ত ট্রাম্প প্রশাসন। ইতোমধ্যেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ড মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তায় মোতায়েন করার পর, এবার ট্রাম্পের নিরাপত্তায় এবং বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনীর ১০ হাজার সক্রিয় সদস্য চেয়েছে তার কার্যালয়- হোয়াইট হাউজ।
মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস নিউজ প্রথম এই খবর প্রকাশ করে।
প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, হোয়াইট হাউজ ১০ হাজার সক্রিয় সেনাসদস্য চেয়েছে ওয়াশিংটনসহ অন্যান্য শহরে বিক্ষোভ দমনের উদ্দেশ্যে।
তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এস্পার এবং জয়েন্ট চীফ অব স্টাফসের চেয়ারম্যান মার্ক মাইলে এই প্রস্তাবের সরাসরি বিরোধিতা করেছেন বলে জানিয়েছে সিএনএন।
মার্কিন গণমাধ্যমটি দেশটির শীর্ষ এক সামরিক কর্মকর্তার বরাতে জানায়, তারা দুজনেই বর্তমানে পেশাদার দায়িত্বে নিয়োজিত সেনাদের বিক্ষোভ দমনে নিয়োজিত করার হোয়াইট হাউসের প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দিয়েছেন।