বিশ্ব মানবাধিকার সার্বজনীন ঘোষণার ৭১ বছর

আন্তর্জাতিক

টিবিএস রিপোর্ট
10 December, 2019, 10:45 am
Last modified: 10 December, 2019, 11:59 am
‘মানবাধিকার সুরক্ষায় তারুণ্যের অভিযাত্রা’ প্রতিপ্রাদ্য নিয়ে এ বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

আজ ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। মঙ্গলবার সারাবিশ্বের মতো যথাযথ মর্যাদায় বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করা হয়। এরপর থেকে দিনটিকে সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।

‘মানবাধিকার সুরক্ষায় তারুণ্যের অভিযাত্রা’ প্রতিপ্রাদ্য নিয়ে এ বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

এই বছর বিশ্ব মানবাধিকার সার্বজনীন ঘোষণার ৭১ বছর পূর্ণ হলো। ৭১ বছর আগের এই দিনটি জাতি, বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, ভাষা, মতপ্রকাশ রাজনৈতিক ও সামাজিক সত্ত্বা, সম্পদের অধিকার ও জন্মসূত্রসহ নানা মর্যাদা সম্বলিত নির্বিশেষে মানুষের অধিকারের সার্বজনিন ঘোষণার জন্য মাইলফলক হয়ে রয়েছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস যেসব তরুণ মানবাধিকার রক্ষায় অটল তাদের সহযোগিতা ও রক্ষা করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী যুব গোষ্ঠী অগ্রসর হচ্ছে, সংগঠিত হচ্ছে ও তাদের আওয়াজ তুলছে।’

তারা স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশের অধিকারের জন্য, নারী ও কিশোরীদের সমঅধিকারের জন্য, সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণের জন্য ও স্বাধীনভাবে মতামত ব্যক্ত করার জন্য কথা বলছে বলে মন্তব্য করেন জাতিসংঘ প্রধান।

তিনি বলেন, তরুণরা শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যত, ন্যায়বিচার ও সমান সুযোগ সুবিধা বাস্তবায়নের অধিকারের জন্য অগ্রসর হচ্ছেন।

গুতেরেস বলেন, প্রতিটি স্বতন্ত্র ব্যক্তি তাদের নাগরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সব অধিকার পাওয়ার যোগ্য। এটি তাদের বসবাসের স্থান, বর্ণ, গোষ্ঠী, ধর্ম, সামাজিক উৎপত্তি, লিঙ্গ, যৌন পরিচিতি, রাজনৈতিক অথবা অন্য মতামত, প্রতিবন্ধিতা বা উপার্জন অথবা অন্য যেকোনো অবস্থান নির্বিশেষে প্রযোজ্য।

দেশে রাজনৈতিক, সামাজিক বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করছে।

মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, তরুণরা জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার। এ প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘মানবাধিকার সুরক্ষায় তারুণ্যের অভিযাত্রা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখা রাষ্ট্রের পাশাপাশি সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব । ‘আমি নারী, শিশু ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীসহ সকল নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি,’ বলেন হামিদ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পিছিয়ে-পড়া জনগোষ্ঠীসহ সকল মানুষের মানবাধিকার সুরক্ষা, সমঅধিকার, অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিতকরণে সরকার ইতোমধ্যেই বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে এবং ভবিষ্যতে আরও করবে।

‘আমি মানবাধিকার সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, সিভিল সোসাইটি, গণমাধ্যম, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আরেও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.