বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় এশিয়া-সেরা আম্বানি

দুনিয়ার সেরা ধনীদের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন এশিয়ার সবচেয়ে ধনী লোক মুকেশ আম্বানি।
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যানের সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এর ফলে একমাত্র এশীয় হিসেবে তিনি ঢুকে পড়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায়।
ওরাকল কর্পের ল্যারি এলিসন এবং পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী নারী- ফ্রান্সের ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট মায়ারসকে টপকে তালিকায় ৯ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
রিলায়েন্সের ৪২ শতাংশ মালিকানা মুকেশ আম্বানির। কোম্পানির ডিজিটাল ইউনিট জিও প্ল্যাটফর্ম লিমিটেডে আচমকা বিনিয়োগ করে তিনি লাভবান হয়েছেন; সেই বিনিয়োগ কোম্পানিটিকে টার্গেটকৃত মার্চ ২০২১-এর আগেই দেনামুক্ত হতে সাহায্য করেছিল বলে দাবী রিলায়েন্সের। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের আঘাতে তালিকার অন্য বিলিয়নাররা যখন মোটামুটি ধাক্কা খেয়েছেন, ভারতীয় কোম্পানিটির শেয়ার সেখানে মার্চে বেড়েছে দ্বিগুণ।
জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটির সেন্টার অব ইকোনোমিক স্টাডিজ অ্যান্ড প্ল্যানিংয়ের চেয়ার- জয়তি ঘোষ বলেন, কোভিড-১৯-এর বিস্তাররোধে লকডাউনের ফলে ভারতীয় অর্থনীতি যেখানে প্রায় ধ্বংসের কাছাকাছি, সেখানে আম্বানির কোম্পানিগুলোর (বিশেষ করে টেলিকম জায়ান্ট জিও) ক্রম-উন্নতি ঘটছে, এবং এর ফলে তার ব্যক্তিগত সম্পদও বাড়ছে।
রিলায়েন্সের একজন গণমাধ্যম প্রতিনিধি অবশ্য আম্বানির এই 'সৌভাগ্যের' বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি।
বাবা ধিরুভাই আম্বানির গড়ে তোলা পারিবারিক ব্যবসায় ১৯৮০-এর দশকের শুরুতে নাম লেখান মুকেশ আম্বানি। ২০০২ সালে কোনো উইল না রেখেই বাবা মারা গেলে মুকেশ ও তার ভাই অনিলের মধ্যে বিবাদ বাধে।
মায়ের মধ্যস্থতায় ভাইদের মধ্যে পারিবারিক ব্যবসা ভাগ হয়ে যায়। রিফাইনিং, পেট্রোকেমিক্যাল, তেল ও গ্যাস এবং টেক্সটাইল অপারেশনের নিয়ন্ত্রণ আসে মুকেশের ওপর। অন্যদিকে, টেলিকমিউনিকেশন, অ্যাসেট-ম্যানেজমেন্ট, এন্টারটেইনমেন্ট ও পাওয়ার-জেনারেশনের ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ পান অনিল।
শীর্ষ ব্যবসায়ী হওয়ার মন্ত্র প্রকাশ করেছেন মুকেশ। ভারতে রাষ্ট্রীয় মালাকানাধিন ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্প'কে ছাপিয়ে আয়ের বিচারে রিলায়েন্স আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের সবচেয়ে বড় কোম্পানি হয়ে ওঠে গত বছর। আগস্টে, রিলায়েন্সের বার্ষিক শেয়ারহোল্ডার সভায় আম্বানি বলেন, 'পৃথিবীর কোনো শক্তিই ভারতের উন্নতি ঠেকাতে পারবে না।'
বিশ্বের সেরা ধনীর সর্বশেষ তালিকা সেই দাবীরই সাক্ষ্য দেয়।