বিমান বিধ্বংসী লেজার রশ্মির সফল পরীক্ষা চালাল যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
23 May, 2020, 04:00 pm
Last modified: 23 May, 2020, 06:43 pm
পরীক্ষাটি চালানো হয় মার্কিন প্যাসিফিক ফ্লিটের অধীন উভচর যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস পোর্টল্যান্ড থেকে। এর সাহায্যে শত্রুর যে কোনো বিমান বা মনুষ্যবিহীন ড্রোনকে ‘নিষ্ক্রিয়’ (সামরিক পরিভাষায় ধ্বংস) করে দেওয়া সম্ভব বলে জানানো হয় সংযুক্ত বিবৃতিতে। 

লেজার রশ্মি ছুঁড়ে শত্রুর যুদ্ধবিমানকে আকাশপথেই ধ্বংস করে দিতে সক্ষম এক অত্যাধুনিক অস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে সফল পরীক্ষার তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নৌবহর সদর দপ্তর।

পরীক্ষাটি চালানো হয় মার্কিন প্যাসিফিক ফ্লিটের অধীন উভচর যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস পোর্টল্যান্ড থেকে। প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে প্রথমবারের মতো অতি-শক্তিশালী 'হাই এনার্জি ক্লাস সলিড স্টেট' লেজার রশ্মি ছুঁড়তে দেখা গেছে জাহাজটিকে। 

এর সাহায্যে শত্রুর যে কোনো বিমান বা মনুষ্যবিহীন ড্রোণকে 'নিষ্ক্রিয়' (সামরিক পরিভাষায় ধ্বংস) করে দেওয়া সম্ভব বলে জানানো হয় সংযুক্ত বিবৃতিতে। 

যুদ্ধজাহাজ থেকে ছোড়া আয়নায়িত ওই কেন্দ্রীভূত শক্তিশালী রশ্মির উষ্ণতায় প্রকাশিত ভিডিওতে একটি ড্রোন পুড়তে দেখা গেছে। 

প্রশান্ত মহাসাগরের ঠিক কোন স্থানে এই অস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়েছে, সে সম্পর্কে জানায়নি মার্কিন নৌবাহিনী। তবে গত ১৬ মে পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। 

অস্ত্রের প্রকৃত শক্তিও গোপন রাখা হয়েছে। তবে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ জানায়, এই ধরনের অস্ত্রের সাহায্যে ১৫০ কিলোওয়াট বৈদ্যুতিক শক্তির লেজার রশ্মি ছোঁড়া যেতে পারে।  

যুদ্ধজাহাজ পোর্টল্যান্ডের সর্বাধিনায়ক ক্যাপ্টেন কেরি স্যান্ডার্স বলেন, 'সমুদ্রে ড্রোন এবং ক্ষুদ্র নৌযানের ওপর লেজার অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে আমরা আগামীদিনে এর সঠিক ব্যবহার ও সক্ষমতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার আশা করছি। শত্রুর আসন্ন হুমকি মোকাবিলায় এসব অভিজ্ঞতা ও তথ্য আমাদের সাহায্য করবে।' 

মার্কিন নৌবাহিনী জানায়, নতুন লেজার অস্ত্রের নাম ডিউ বা ডাইরেক্টেড এনার্জি ওয়েপনস। ড্রোন বা ছোট সমুদ্রযানের হুমকি মোকাবিলায় এটি খুবই কার্যকর প্রভাব রাখতে সক্ষম।  
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.