প্রতি মাসে না খেয়ে মারা যাচ্ছে ১০ হাজার শিশু: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
30 July, 2020, 08:40 am
Last modified: 30 July, 2020, 03:49 pm
এর একটা উল্টো চিত্রও আছে, প্রতি বছর সারা বিশ্বে নষ্ট হচ্ছে ২২ কোটি ২০ লাখ টন খাবার।

বিশ্বজুড়ে  প্রতি মাসে না খেতে পেয়ে ১০ হাজার শিশু মারা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, করোনার পর প্রথম বছরে এক লাখ ২০ হাজার শিশু না খেতে পেয়ে, অপুষ্টিতে মারা যাবে।

এমনটিই জানিয়েছে জাতিসংঘের এক রিপোর্টে।

গবেষকরা ১১৮টি গরিব ও মাঝারি আয়ের দেশে সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। সেখানে দেখা গেছে, পাঁচ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের শারীরিক বিকৃতি ১৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে। আরো ৬৭ লাখ বাচ্চার দেহে অপুষ্টির প্রভাব দেখা যাচ্ছে। গবেষকরা বলেছেন, করোনার প্রভাব এই বাচ্চাদের বৃদ্ধিতে পড়ছে। এর ফলে তারা বিভিন্ন রোগে ভুগতে থাকবে।  

অল্প পরিমাণ জমি যারা চাষ করেন, তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে আসছে না। গরিব দেশের গ্রামগুলোতে উপযুক্ত পরিমাণ খাবার ও চিকিৎসার জিনিস পৌঁছাচ্ছে না। ঠিকমতো খেতে না পেয়ে প্রতি মাসে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার শিশুর নানা ধরনের রোগ হচ্ছে। পেট ফুলে যাচ্ছে। হাত-পা সরু হয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, জাতিসংঘের মতে, অপুষ্টির প্রভাব দীর্ঘদিন থাকে। তাই অপুষ্টি সবসময়ই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিউট্রিশন বিভাগের প্রধান ফ্রান্সেসকো ব্রাংকা বলেছেন, করোনার ফলে যে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে, তার প্রভাব বহুদিন ধরে চলবে। তার একটা সামাজিক প্রতিক্রিয়া আছে। জাতিসংঘের হিসাব হলো, সাত কোটি শিশুর ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে।

এর পাশাপাশি অন্য একটা ছবিও আছে। সারা বিশ্বে প্রতি বছর ২২ লাখ ২০ হাজার টন খাবার নষ্ট হয়। বিশ্বের কিছু লোক অতিরিক্ত খাচ্ছেন, খাবার নষ্ট করছেন। আর বহু দেশে খাবার না পেয়ে ঘুমোতে যাচ্ছে মানুষ।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা এফএও-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সারাবিশ্বে অন্তত ৮২ কোটি মানুষ রাতে না খেয়েই ঘুমাতে যায়। এফএও-র প্রতিবেদনে ঠিক উল্টো চিত্রও উঠে এসেছে। দেখা গেছে, বিশ্বের প্রায় ২০০ কোটি মানুষ অতিরিক্ত খাবার খেয়ে খুব মোটা হয়ে গেছে। যেখানে ৮২ কোটি মানুষ একবেলা কোনো খাবার পায় না, সেখানে সারাবিশ্বে প্রতি বছর অন্তত ২২ কোটি ২০ লাখ টন খাবার নষ্ট বা অপচয় করা হয়।

সূত্র: ডয়চে ভেলে বাংলা

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.