নিউজিল্যান্ডের নির্বাচনে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন জেসিন্ডা

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
17 October, 2020, 04:15 pm
Last modified: 17 October, 2020, 05:23 pm
এর আগে, ২০১৭ সালের নির্বাচনে গ্রিনস ও নিউজিল্যান্ড ফার্স্ট পার্টির সঙ্গে যৌথভাবে সরকার গঠন করে লেবার পার্টি।

নিউজিল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন দেশটির ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, ২০১৭ সালের নির্বাচনে দেশটির ন্যাশনালিস্ট পার্টি বেশি আসন পেলেও সরকার গঠন করতে পারেনি। তখন গ্রিনস ও নিউজিল্যান্ড ফার্স্ট পার্টির সঙ্গে যৌথভাবে সরকার গঠন করে লেবার পার্টি।

নিউজিল্যান্ডের এক কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের ১২০টি আসনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি আসন পেলেই একক সরকার গঠন করা সম্ভব।

রয়টার্স জানিয়েছে, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার মধ্যেই অকল্যান্ডের নিজের বাসভবন থেকে বেরিয়ে এসেছেন জেসিন্ডা। এ সময় তিনি তার সমর্থকদের হাত নেড়ে অভিবাদন জানান এবং জড়িয়ে ধরেন। বিরোধী দল ন্যাশনালিস্ট পার্টির প্রধান জুডিথ কলিন্স জানিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডাকে ফোন করেছেন এবং অসাধারণ এই ফলাফলের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।

করোনাভাইরাস মহামারির মোকাবিলায় দুর্দান্ত সাফল্যের নজির রাখা প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডার বামপন্থি দল লেবার পার্টি এখন পর্যন্ত গণনা হওয়া ৫৪ শতাংশ ভোটের মধ্যে ৪৯ দশমিক ৬ শতাংশ পেয়ে এগিয়ে আছে।

সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জেসিন্ডার দল যদি নির্বাচনের ফলাফলে এই ধারায় এগিয়ে থাকে, তবে তা ১৯৯৬ সালের পর থেকে নিউজিল্যান্ডের বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিজয় হবে। 

১৯৯৬ সালে মিশ্র সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নামে পরিচিত একটি সংসদীয় ব্যবস্থা চালু করার পর থেকে নিউজিল্যান্ডে কোনো দলই সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। 

লেবার পার্টির প্রধান প্রতিপক্ষ ডানপন্থি ন্যাশনাল পার্টি গত নির্বাচনের যে ভোট পেয়েছিল, এবার তার মাত্র ২৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে- ২০০২ সালের পর যা দলটির সবচেয়ে বাজে ফলাফল।

সিএনএন এর খবরে বলা হয়, এখনো ফলাফল গণনা করা হচ্ছে। আগাম ফলাফলেই জেসিন্ডার বিজয় নিশ্চিত। তবে বিদেশে বসবাসরত নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের থেকে ভোটগ্রহণ শেষে আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.