জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কম ভ্রমণ ও কম মাংস খাওয়ার পরিকল্পনা বিল গেটসের
জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈষ্ণিক উষ্ণায়নরোধে নিজের ভূমিকা রাখতে চান বলে জানিয়েছেন বিল গেটস। সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে নিজের বই প্রকাশ করেছেন এই ধনকুবের। এবার জানা গেল, কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমাতে নিজের লাইফস্টাইলও বদলে ফেলার পরিকল্পনা করেছেন তিনি।
শুক্রবার রেডইট-এর সর্বশেষ 'আস্ক মি এনিথিং' সেশনে মাইক্রোসফটের এই সহপ্রতিষ্ঠাতা কার্বন নিঃসরণে মানুষের কী কী করণীয়, তা নিয়ে কথা বলেন। অন্যান্য পরামর্শের পাশাপাশি তিনি মানুষকে ভোগের পরিমাণ কমাতে বলেন।
এই কথার প্রতিক্রিয়া হিসেবে একজন ব্যবহারকারী গেটসকে প্রশ্ন করেন, তিনি ভোগের পরিমাণ কমাতে কী করবেন বলে ঠিক করেছেন।
জবাবে গেটস বলেন, 'ব্যক্তিগত দিক থেকে আমি অনেক কিছুই করতে শুরু করেছি। ইলেকট্রিক গাড়ি চালাই এবং আমার বাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ রয়েছে। মাঝেমাঝে সিন্থেটিক মাংস খাই। আমি গ্রিন অ্যাভিয়েশন জ্বালানি কিনেছি। ক্লাইমওয়ার্কের মাধ্যমে সরাসরি এয়ার ক্যাপচারের জন্য টাকা দিই। আমি প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিবর্তে কম খরচে আবাসন ক্ষেত্রে ইলেক্ট্রিক হিট পাম্প তৈরির অর্থায়ন করি।'
নভেম্বরের দিকে গেটস করোনা মহামারির পরে ব্যবসায়িক ভ্রমণ অর্ধেক কমে যাবে বলে নিজের অনুমানের কথা গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন। শুক্রবার নিজের সময়সূচিতেই তিনি এর প্রতিফলনের কথা জানালেন।
'আমি ভ্রমণ করা অনেক কমিয়ে দেব ভেবেছি, কারণ মহামারি আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন, কম ভ্রমণেও আমাদের জীবন চলে,' বলেন বিল গেটস। এদিকে মাইক্রোসফটও তাদের টিম অ্যাপ বানিয়েছে, যেন কর্মীরা ভিডিও কল ও ম্যাসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন।
বিল গেটস গত বছর মাইক্রোসফটের পরিচালনা বোর্ড থেকে সরে এলেও এখনো বিনিয়োগকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে রয়েছেন। সেইসঙ্গে তিনি এখনো প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত পণ্যের রিভিউ পর্যালোচনা করেন।
গ্রিন এফোর্ট বা সবুজ বনায়নের লক্ষ্যে কী কী প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত আছেন, সেই তথ্যও জানিয়েছেন গেটস।
তিনি লিখেছেন, 'জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সহায়তা করতে আমি ভেঞ্চার ফান্ড, ফেলো ও প্রভাবকসহ নানা ব্রেকথ্রু এনার্জি তৈরি করেছি। আমি মনে করি নতুন নতুন উদ্ভাবন করতে পারলেই শুধু নিঃসরণ ছাড়াই সবাইকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।'
- সূত্র: সিএনবিসি