চতুর্থবারের মত পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ‘টিকটক’ 

আন্তর্জাতিক

হিন্দুস্তান টাইমস
22 July, 2021, 02:10 pm
Last modified: 22 July, 2021, 02:16 pm
ইমরান খানের সময়ে যেভাবে বারবার টিকটক বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, তার সমালোচনাও হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তার সরকারের আমলে সেন্সরশিপের পরিমাণ অনেক বেড়ে গিয়েছে।

২০১৮ সালে ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পাকিস্তানে এই নিয়ে চারবার টিকটক নিষিদ্ধ করা হলো।

পাকিস্তানি টেলিকম কর্তৃপক্ষের দাবি, টিকটকের কনটেন্ট 'অনুপযুক্ত'। তাই চীনা অ্যাপটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, টিকটক পাকিস্তানের আদালতের নির্দেশ মানেনি। তাদের বিষয়বস্তু 'অশ্লীল এবং অনৈতিক'।

ইমরান খানের আমলে যেভাবে বারবার টিকটক বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, তার সমালোচনাও হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তার সরকারের আমলে সেন্সরশিপের পরিমাণ অনেক বেড়ে গিয়েছে।

তবে বুধবার টেলিকম কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের আগে টিকটক নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। এর আগে জুলাইয়ে কোর্টের নির্দেশে টিকটক দু'দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

পাকিস্তানে টিকটক খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে যারা অনলাইনে জিনিস বিক্রি করেন, তাদের কাছে টিকটক খুব জনপ্রিয়। কিন্তু এর সমালোচকের সংখ্যাও কম নয়। তারা মনে করেন, টিকটকের বিষয়বস্তু অনেক সময় অশ্লীল হয়।

গত মাসে টিকটক ঘোষণা দেয়, তারা আগের তিন মাসে আপলোড হওয়া ৬০ লাখ ভিডিও সরিয়ে দেবে। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ ভিডিও প্রাপ্তবয়স্কদের নগ্নতা প্রদর্শন ও যৌন কার্যকলাপের জন্য সরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে পাকিস্তানে প্রথমবারের জন্য টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়। পরে চীন কূটনৈতিক চাপ দেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

পাক সরকার এর আগে ইউটিউবকেও অশ্লীল বিষয় ও 'হেইট স্পিচ' বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। ২০১২ সালে ইউটিউবে আপলোড করা একটি ভিডিও নিয়ে প্রবল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়। তারপর বেশ কয়েক মাস ইউটিউবও বন্ধ থাকে। এছাড়া আরও দুটি অ্যাপের উপর পাকিস্তানে নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.