'ঘৃণা বিক্রির কারবার করে ফেসবুক', চাকরি থেকে ইস্তফা ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারের

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
10 September, 2020, 08:50 pm
Last modified: 10 September, 2020, 08:52 pm
ফেসবুকের কর্মচারীদের নিজস্ব নেটওয়ার্কিং সাইট প্যাসিফিকে নিজের বক্তব্য জানিয়ে চাকরি থেকে ইস্তফা দেন তিনি। অশোক চান্দওয়ানে বলেন, 'আমি চলে যাচ্ছি কারণ যে সংস্থা আমেরিকাসহ গোটা বিশ্বে ঘৃণা ছড়ানোর কাজ করে যাচ্ছে, তার সঙ্গে আমি আর যুক্ত থাকতে পারছি না।' ১৩শ' শব্দের ওই চিঠিতে নিজের বক্তব্যের সমর্থনে একাধিক লিংক প্রমাণ হিসেবে তুলে দিয়েছেন তিনি।

আবারও অভিযোগ উঠল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকের বিরুদ্ধে। ফেসবুক মানুষের মধ্যে ঘৃণা ছড়ানোর ব্যবসা করে, এই অভিযোগ তুলে চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেন ফেসবুকের এক সফটওয়্যার প্রকৌশলী। নিজ অভিযোগের কথা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভ‌ূত অশোক চান্দওয়ানে।

ফেসবুকের কর্মচারীদের নিজস্ব নেটওয়ার্কিং সাইট প্যাসিফিকে নিজের বক্তব্য জানিয়ে চাকরি থেকে ইস্তফা দেন তিনি। অশোক চান্দওয়ানে বলেন, 'আমি চলে যাচ্ছি কারণ যে সংস্থা আমেরিকাসহ গোটা বিশ্বে ঘৃণা ছড়ানোর কাজ করে যাচ্ছে, তার সঙ্গে আমি আর যুক্ত থাকতে পারছি না।' ১৩শ' শব্দের ওই চিঠিতে নিজের বক্তব্যের সমর্থনে একাধিক লিংক প্রমাণ হিসেবে তুলে দিয়েছেন তিনি।

অশোক চান্দওয়ানের ইস্তফা এবং অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফেসবুকের মুখপাত্র লিজ বুর্গোইস বলেন, 'আমরা ঘৃণা থেকে মুনাফা করি না। সকল সম্প্রদায়কে নিরাপদ রাখার জন্য প্রতি বছর আমরা কয়েকশ' কোটি ডলার বিনিয়োগ করি। আমাদের নীতি ক্রমাগত আপডেট করার জন্য আমরা বাইরেরও অনেক বিশেষজ্ঞের সঙ্গেও সংযোগ রেখেছি। এই গ্রীষ্মেই আমরা এমন একটি পলিসি লঞ্চ করেছি, যার মাধ্যমে ঘৃণা সম্পর্কিত সব পোস্ট চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।'

কয়েক বছর আগেও মার্ক জাকারবার্গের ফেসবুককে আদর্শ নিয়োগকারী বলে মনে করা হত। মোটা বেতনের এই চাকরি ছিল যথেষ্ট আকর্ষক এবং উত্তেজনাপূর্ণ। 

ফেসবুকের চিফ এগজিকিউটিভ মার্ক জাকারবার্গ বলতেন যে, ফেসবুকের উদ্দেশ্য হল গোটা বিশ্বকে একসূতায় বাঁধার। কিন্তু, সম্প্রতি ঘৃণা ও জাতিবিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। ফেসবুকের নীতি বদলানোর দাবি তুলেছেন এ সংস্থারই অনেক কর্মচারী। সে তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন অশোক চান্দওয়ানের ইস্তফা।

ফেসবুকের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান কর্মচারী এর সফটওয়্যার প্রকৌশলীরা। তাই চান্দওয়ানের ইস্তফা এবং অভিযোগে বিব্রত সিলিকল ভ্যালির প্রযুক্তি জায়ান্টটি। 

২৮ বছরের চান্দওয়ান জানিয়েছেন, ফেসবুকে কাজের পরিবেশ অত্যন্ত ভালো। কিন্তু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ সমাজের কিসে উপকার হবে, তা চিন্তা করার বদলে নিজেদের মুনাফাতেই বেশি ব্যস্ত। এই বিষয়টি উপলব্ধি হওয়ার পরেই তিনি ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান। বিশেষ করে মায়ানমারের গণহত্যা এবং সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে কেনোশার হিংসার সময়ে; কয়েকটি মিলিশিয়া গ্র‌ুপের পোস্ট ফেসবুক সরিয়ে না দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন অশোক।
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.