গ্রুপ চ্যাটে মিম পাঠানোয় পুলিশের হাতে আটক!
গ্রুপ চ্যাটে মিম পাঠানোয় চীনের নিংজিয়া অঞ্চলে জনৈক ব্যক্তিকে ৯ দিনের জন্য আটকে রাখার সাজা দিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, মিমের মাধ্যমে চীনা পুলিশকে অসম্মান করেছেন তিনি। এরই মধ্যে চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এই ঘটনা।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সূত্র বলছে, লি নামের ওই ব্যক্তি চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইচ্যাটে স্থানীয় কোভিড-১৯ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ করেন এবং একটি মিম পাঠান।
লি'র পাঠানো মিমে দেখা যায়, একটি কুকুরের মাথায় পুলিশের ক্যাপ পরানো, হাতে পুলিশের ব্যাজ এবং কুকুরটি ক্যামেরার দিকে আঙুল নির্দেশ করে আছে। নেটিজেনদের কাছে ছবিটি বহুল পরিচিত। আগেপরেও বিড়াল কিংবা কার্টুনের মাথায় পুলিশি ক্যাপ পরিয়ে একই ধাঁচের মিম তৈরি করা হয়েছে।
রাষ্ট্র পরিচালিত গণমাধ্যম, দ্য পেপার এই ঘটনার বিস্তারিত প্রকাশের পর নিন্দার ঝড় উঠেছে চীনে। এরই মধ্যে লি'র ইস্যুতে দেওয়া হ্যাশট্যাগ ১৭০ মিলিয়ন ভিউ পেয়েছে। সাধারণ একটি হাস্যরসাত্মক জোক প্রকাশ করায় লি'কে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদ করেছেন অনেকে।
লি তার মিমের মাধ্যমে পুলিশকে অপমান করেছেন বলে রোববার সন্ধ্যায় কিংটংজিয়া পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন চীনের মেম্বার অব পাবলিকদের একজন। এর ফলস্বরূপ, ওই চ্যাট গ্রুপে তদন্ত চালায় পুলিশ। এরপর তাঁকে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে লি স্বীকার করেন যে তিনি পুলিশকে অবমাননা করেছেন।
কিংটংজিয়া পুলিশের ভাষ্যে, লি 'বিবাদ সৃষ্টি ও বিশৃঙ্খলার উস্কানি' দেওয়ার মতো কাজ করেছেন। তাই তাকে ৯ দিন আটকে রাখার সাজা দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অপরাধে পুলিশ 'জিরো টলারেন্স' নীতি অবলম্বন করবে বলেও জানান তারা।
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, একাধিক লকডাউন, গণপরীক্ষাসহ বিভিন্ন কোভিড বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে কঠোর ভূমিকা পালন করছে চীনা সরকার। দেশের অনেকেই সরকারের এসব পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানালেও, প্রতিবাদীর সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়।
গেল অক্টোবরেই লক-ডাউন গেট ভেঙে বাইরে বেরোতে চাওয়ায় দুই ব্যক্তিকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বর্ধিত লকডাউনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন সাধারণ জনগণ।
- সূত্র: সিএনএন