কেবল এক গ্রামেই ৫০’রও বেশি মানুষের শিরশ্ছেদ করল জঙ্গিরা

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
10 November, 2020, 04:30 pm
Last modified: 10 November, 2020, 04:38 pm
আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের ওই গ্রামটির একটি ফুটবল মাঠে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয় বলে জানা যায়। পাশের আরেকটি গ্রামেও জঙ্গীগোষ্ঠীর আক্রমণে বেশ কয়েকজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

মোজাম্বিকের উত্তরাঞ্চলের একটি গ্রামে ইসলামপন্থী জঙ্গীগোষ্ঠী অন্তত ৫০ জন বাসিন্দাকে হত্যা করেছে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের সূত্রে এ খবর জানা যায়।

গ্রামটির একটি ফুটবল মাঠে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয় বলে জানা যায়। পাশের আরেকটি গ্রামেও জঙ্গীগোষ্ঠীর আক্রমণে বেশ কয়েকজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির কাবো ডেলগাডো প্রদেশে ২০১৭ সাল থেকেই এই জঙ্গীগোষ্ঠীর তৎপরতা শুরু হয়। এপর্যন্ত দুই হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে; বাস্তুচ্যুত হয়েছে অন্তত ৪ লাখ ৩০ হাজার মানুষ।

জঙ্গীগোষ্ঠীটি ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সাথে সংযুক্ত বলে জানা যায়। এ অঞ্চলে শরীয়া আইন প্রচলনের লক্ষ্যে দারিদ্র্য ও বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে তরুণ জনগোষ্ঠীকে দলে ভেড়ানোর কার্যক্রমও চালাচ্ছে এই জঙ্গীগোষ্ঠী। ইতোপূর্বে গত এপ্রিলে যোগদানে অস্বীকৃতি জানানোয় অন্তত ৫২ জন মানুষকে হত্যা করা হয়।

বিবিসির মোজাম্বিক প্রতিনিধি জানান, কয়েক বছর ধরে চলমান এই জঙ্গীগোষ্ঠীর আক্রমণে এবারের ঘটনাই সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল। 

মোজাম্বিক নিউজ অ্যাজেন্সি জানায়, মুয়াতাইদ গ্রামে আল্লাহু আকবার স্লোগান দিয়ে ৫০ জনের বেশি মানুষের শিরশ্ছেদ করা হয়। গ্রামবাসীদের মধ্যে যারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, তাদের ফুটবল মাঠে নিয়ে শিরশ্ছেদ করা হয়। নানজাবা গ্রামেও হামলা চালানো হয়। 

একজন গ্রামবাসীর বরাতে মোজাম্বিক নিউজ অ্যাজেন্সির প্রতিবেদনে জানানো হয়, জঙ্গীগোষ্ঠীর সদস্যরা গ্রামে অতর্কিত হামলা চালায়, আল্লাহু আকবার স্লোগান দিয়ে তারা ঘরগুলোতে আগুন লাগিয়ে দেয়। দুইজন ব্যক্তির শিরশ্ছেদ করা হয়, বেশ কয়েকজন নারীকে অপহরণ করা হয়।

এই জঙ্গীগোষ্ঠীর দমনে আন্তর্জাতিক মহলের সাহায্য চেয়েছে মোজাম্বিক সরকার। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন জানিয়ে সাহায্য প্রার্থনা করা হয়। 

সূত্রঃ বিবিসি 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.