কার্বন নির্গমনে শীর্ষ চারে থাকার পরও সবার পরে শূন্য নির্গমনে পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতি ভারতের

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
02 November, 2021, 04:20 pm
Last modified: 02 November, 2021, 04:24 pm
২০৭০ সালের মধ্যে ভারত শূন্য নির্গমনের লক্ষ্য অর্জন করবে। মোদির এই ঘোষণার পর বিশ্বের কয়লা ব্যবহারে শীর্ষ ১০টি দেশ এখন শূন্য কার্বন নির্গমনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলো। বাকি নয়টি দেশ আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, বাকি ছিল শুধু ভারত। 

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে চলমান কপ-২৬ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাঁচ দফা জলবায়ু কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন। কর্মসূচিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দফা হলো, ২০৭০ সালের মধ্যে ভারত শূন্য নির্গমনে পৌঁছানোর লক্ষ্য হাতে নিয়েছে। 

মোদির এই ঘোষণার পর বিশ্বের কয়লা ব্যবহারে শীর্ষ ১০টি দেশ এখন শূন্য কার্বন নির্গমনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলো। বাকি নয়টি দেশ আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, বাকি ছিল শুধু ভারত। 

তবে, অন্যান্য কয়লা দূষণকারী দেশগুলো ২০৭০ সালের অনেক আগেই শূন্য নির্গমন অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এমনকি চীনের চেয়েও পিছিয়ে আছে ভারত।  চীন এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সময়সীমা নির্ধারণ করেছে ২০৬০ সাল, যা ভারতের চেয়ে এক দশক এগিয়ে। 

সোমবারের বক্তব্যে মোদি বলেন, "আমি এটি জানাতে পেরে আনন্দিত যে ভারতের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশ, যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষকে দারিদ্র্য সীমার নিচ থেকে বের করে আনার চেষ্টা চলছে ও যেখানে বিশ্ব জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ বসবাস করে, সেই দেশে বৈশ্বিক কার্বন নির্গমনের পরিমাণ মাত্র ৫ শতাংশ।" 

ভারত প্যারিস চুক্তি 'অক্ষরে অক্ষরে' পালন করছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। 

মোদির পাঁচ দফা জলবায়ু কর্মসূচিগুলো হালো: 

  • ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের অ-জীবাশ্ম শক্তির ক্ষমতা ৫০০ গিগাওয়াটে পৌঁছাবে।
  •  ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের শক্তির চাহিদার ৫০ শতাংশ পূরণ হবে নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে।
  •  ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের মোট কার্বন নির্গমন এক বিলিয়ন টন হ্রাস পাবে।
  • ২০৩০ ভারত সালের মধ্যে অর্থনীতিতে কার্বনের গুরুত্ব ৪৫ শতাংশেরও নিচে নামিয়ে আনা হবে।
  • ২০৭০ সালের মধ্যে ভারত শূন্য নির্গমনের লক্ষ্য অর্জন করবে।

এছাড়া উন্নয়নশীল দেশগুলোতে 'গ্রিন এনার্জি' বা সবুজ শক্তি উন্নয়নে এবং জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোর প্রতি ১ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থায়নের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, "প্যারিস চুক্তির সময় জলবায়ু অর্থায়নের যে পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছিল তা এখনও আগের স্তরেই থাকতে পারে না। এখন যেহেতু ভারত একটি নতুন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাই জলবায়ু অর্থায়ন ও কম খরচে প্রযুক্তি স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।" 

  • সূত্র: সিএনএন

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.