আফগানিস্তানে বিদেশি মুদ্রার ব্যবহার নিষিদ্ধ করল তালেবান
আন্তর্জাতিক
আফগানিস্তানে সব কাজে বিদেশি মুদ্রার ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার। এর ফলে দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতি আরও ঝুঁকির মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেইসঙ্গে অন্যান্য দেশ থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে দেশটি।
দেশটির শত শত কোটি ডলার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর ব্যাংকে রিজার্ভ হিসেবে জমা রেখেছিল পূর্ববর্তী সরকার। আগস্টে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর ওই অর্থ আটকে দেওয়া হয়। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এ অর্থ পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল তালেবান। রিজার্ভের এ অর্থ ছাড়াও আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহেদ এক অনলাইন পোস্টের মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা নিষিদ্ধের ঘোষণা দেন। ঘোষণায় দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় দোকানদার থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী সবাইকে আফগান মুদ্রায় লেনদেনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
"দেশের অর্থনীতির ওপর বিদেশি মুদ্রা ব্যবহারের বিরূপ প্রভাব আছে। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে,"
বিগত ২০ বছর ধরেই আফগান অর্থনীতির ওপর মার্কিন ডলারের বিশাল প্রভাব ছিল, দেশটির অর্থনীতি একেবারে ভেঙে পড়েনি ডলারের বিপুল ব্যবহারের কারণে। ফলে, হঠাৎ করে বৈদেশিক মুদ্রা নিষিদ্ধ করার এ সিদ্ধান্ত তালেবান কীভাবে প্রয়োগ করবে তা স্পষ্ট নয়।
আফগানিস্তানের ব্যাংক ডিপোজিটের দুই-তৃতীয়াংশ এবং জাতীয় ঋণের অর্ধেকই মার্কিন ডলারে।
আমদানিকৃত পণ্য ও সেবা এবং বাড়ি কেনা বা প্রাইভেট স্কুল টিউশন দেওয়ার মতো বড় লেনদেনের ক্ষেত্রেও ডলার ব্যবহারই সুবিধাজনক।
এ নিষেধাজ্ঞার কারণে বৈদেশিক সহায়তার প্রক্রিয়াও জটিল রূপ ধারণ করতে পারে। এর ফলে আসন্ন শীতেও আরও বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে সাধারণ আফগান জনগণ।
- সূত্র: ব্লুমবার্গ
Comments
While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.