অনূর্ধ্ব ৬০ বছরের নাগরিকদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দেওয়া স্থগিত করল জার্মানি

আন্তর্জাতিক

টিবিএস ডেস্ক
31 March, 2021, 02:35 pm
Last modified: 31 March, 2021, 02:36 pm
ইউরোপের ও যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ বর্তমান প্রমাণসাপেক্ষে সব বয়সীদের জন্যই ভ্যাকসিনটি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। 

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রক্ত জমাট বাধার আশঙ্কায় অনুর্ধব ৬০ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া স্থগিত করেছে জার্মানি। 

জার্মানিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন গ্রহণ করা ২৭ লাখ মানুষের মধ্যে ৩১ জনের মধ্যে রক্ত জমাট বাধার প্রমাণ পেয়েছে দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ।  

এর আগে অনুর্ধব ৫৫ বছর বয়সীদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দেওয়া স্থগিত করেছে কানাডা।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে ভ্যাকসিনের সম্ভাব্য ঝুঁকির মাত্রার চেয়ে এর সুফল অনেক বেশি। 

রক্ত জমাট বাধার ঘটনার সাথে থ্রম্বোসাইটপেনিয়া রোগের সম্পর্ক আছে কিনা তা জানতে রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণ করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। 

"আমরা এব্যাপারে জার্মান কর্তৃপক্ষের প্রশ্ন ও শঙ্কার উত্তর দিতে তাদের সঙ্গে কাজ করব," 

ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) ও ইউকে মেডিসিন অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকির চেয়ে সুফল বেশি এ মর্মে বক্তব্য দিয়েছে।

যুক্তরাজ্য সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, "অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিরাপদ, কার্যকর এবং ইতোমধ্যে দেশের হাজার হাজার মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।"

পশ্চিমা দেশগুলোতে বহুল ব্যবহৃত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন হল অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন, জাতিসংঘ সমর্থিত কোভ্যাক্স উদ্যোগেও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই ভ্যাকসিনই সরবরাহ করা হবে। 

কোটি কোটি মানুষকে একটি ভ্যাকসিন দেওয়া হলে স্বাভাবিকভাবেই কিছু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। কিন্তু এর মানে এই নয়, ভ্যাকসিনের কারণেই এমনটা হয়েছে, প্রাকৃতিক কারণেই অসুস্থতা বা মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। আসল কারণ উদঘাটনে কর্তৃপক্ষকে কাজ করতে হবে। 

ভ্যাকসিন গ্রহণের পর ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের শরীরে দেখা যাওয়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা হয় এ কাজে। রক্ত জমাট বাধার যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, এধরনের ঘটনাও খুব বিরল। ঠিক কতো সংখ্যক মানুষের ক্ষেত্রে এমনটা হতে পারে এখনই তা নিশ্চিতভাবে বলা কঠিন। আমরা জানি নারীদের মধ্যেই এধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বেশি দেখা গেছে, নারীদের পিল সেবনও এধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে।

রক্ত জমাট বাধার জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনই দায়ী- এখন পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণও মেলেনি। তবে ভ্যাকসিনের কারণেই এমনটা হয়েছে এমন প্রমাণ পাওয়া গেলেও, এরচেয়ে কোভিডের অসুস্থতা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ কিনা তা বিবেচনায় রাখতে হবে।

ইউরোপের ও যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ বর্তমান প্রমাণসাপেক্ষে সব বয়সীদের জন্যই ভ্যাকসিনটি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। 

  • সূত্র: বিবিসি 

 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.