আল-আমিন কেমিক্যালের ৪৮ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন সাকিব আল হাসান ও তার সহযোগীরা

নিজের দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সহযোগীদের মাধ্যমে আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক ও স্পন্সরদের থেকে ৪৮.১৭৫ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছেন ক্রিকেটের সুপারস্টার সাকিব আল হাসান। অধিগ্রহণ করা প্রতিষ্ঠানটি বার্নিশ ও থিনার পণ্য প্রস্তুতকারক।
সোমবার (৩০ মে) অধিগ্রহণটির অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড স্টক এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, সাকিবের দুটি প্রতিষ্ঠান- মোনার্ক মার্ট লিমিটেড এবং মোনার্ক এক্সপ্রেস লিমিটেড যথাক্রমে ২.৪ ও ৪.৮ শতাংশ শেয়ার কিনেছে।
অন্যদিকে, আমিনুল ইসলাম সিকদার ও মো. খায়রুল বাশারের এশাল কমিউনিকেশন্স লিমিটেড ১৪.৪ শতাংশ শেয়ার কিনেছে।
আল-আমিন কেমিক্যালের ২.৪ শতাংশ শেয়ার কিনেছে লাভা ইলেকট্রোডস ইন্ডাস্ট্রিজ। এ এফ এম রফিকুজ্জামান কিনেছেন ১০ শতাংশ, মাশুক আলম ৫ শতাংশ এবং ৮.১৭৫ শতাংশ কিনেছেন মুনশি শফিউদ্দিন।
১৯৯০ সালে যাত্রা শুরু করে আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, ২০০২ সালে পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত হয়। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) ফরিদপুরের কানাইপুরে এর কারখানা রয়েছে।
বর্তমানে কোম্পানিটির উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ। তবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এসএমই প্ল্যাটফর্মে কোম্পানিটি পুনরায় চালুর একটি পরিকল্পনা রয়েছে।
নতুন মালিকদের জন্য বিএসইসির নীতিমালা
বিএসইসি নীতিমালা অনুসারে, নতুন শেয়ারহোল্ডারদের সামষ্টিকভাবে কোম্পানির মোট শেয়ারের অন্তত ৩০ শতাংশ ধরে রাখতে হবে।
কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে, অন্তত ২ শতাংশ শেয়ারের মালিক এমন শেয়ারহোল্ডারদের রাখতে হবে।
বোর্ড অব ডিরেক্টরস পুনর্গঠনের আগে কোম্পানিটি নতুন করে মূলধন সংগ্রহ করতে পারবে না।
নতুন পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানির উৎপাদন কার্যক্রম শুরুসহ বিদ্যমান অন্যান্য বিষয়াদি- যেমন ব্যাংক সম্পর্কিত বিষয়াদি অধিগ্রহণের তিন মাসের মধ্যে বিধিসম্মতভাবে নিষ্পন্ন করবে।
এছাড়া কোম্পানির কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার লক্ষ্যে পৃথক একটি ব্যাংক হিসাব খুলে দরকারি তহবিলের যোগান দেবে নতুন শেয়ারহোল্ডাররা।