জুন নাগাদ মাথাপিছু আয় বাড়বে ২৩৩ ডলার
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, আগামী দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বাড়বে ২৩৩ ডলার বা ২০,১৮০ টাকা।
বিবিএসের সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে জিডিপি'র প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে শতকরা ৭.২৫ ভাগ। সাময়িক হিসাবে চলতি অর্থবছরের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২,৮২৪ মার্কিন ডলার বা ২৪১,৪৭০ টাকা।
প্রাপ্যতার সাপেক্ষে গত ৬/৭ মাসের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ২০২১-২২ অর্থবছরের জিডিপির এ সাময়িক হিসাব প্রস্তুত করা হয়েছে বলে আজ এক প্রেস রিলিজে জানিয়েছে বিবিএস।
প্রেস রিলিজে আরও বলা হয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে জিডিপি'র সার্বিক বিবেচনায় কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি শতকরা ২.২০%, শিল্প খাতে ১২.৩১% এবং সেবা খাতে ৮.৭২% প্রাক্কলন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০-২১ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল শতকরা ৬.৯৪ ভাগ এবং মাথাপিছু আয় ছিল ২১৯,৭৩৮ টাকা বা ২৫৯১ মার্কিন ডলার।
এদিকে একদিনেই ডলারের বিপরীতে ২৫ পয়সা দর হারিয়েছে টাকা। আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে সোমবার (৯ মে) এক ডলারের জন্য ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা খরচ করতে হয়, যা রোববার লেগেছিল ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা।
মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সরবরাহ বিচ্ছিন্নতার জেরে বিশ্ববাজারে পণ্য ও কাঁচামালের মূল্য এখন ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করছে, এতে করে আমদানি মূল্য বাড়ায় ডলারের বিপরীতে বিনিময় দর হারাচ্ছে টাকা।
বাংলাদেশের টাকার মতো বিশ্বের অন্যান্য দেশের ছোটখাট মুদ্রাগুলো বৈশ্বিক কাঁচামাল ও নিত্যপণ্যের অস্থিতিশীল মূল্যের শিকার হয়ে আমদানি ব্যয় মেটাতে প্রচণ্ড চাপের মুখে রয়েছে। এতে রেমিট্যান্স ও রপ্তানির মাধ্যমে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি চাহিদা দেখা যাচ্ছে।
ফলে 'মাথাপিছু আয় বাড়ছে' হিসাবে উঠে এলেও মানুষের পকেটের অবস্থার অগ্রগতি হচ্ছে, এমনটি এখনই বলা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, মাথাপিছু আয় ব্যক্তির একক আয় নয়। দেশের অভ্যন্তরের পাশাপাশি রেমিট্যান্সসহ যত আয় হয়, তার আর্থিক মূল্যের সমষ্টি মোট জাতীয় আয়। সে আয় মাথাপিছু ভাগ করে দেওয়া হয়।