ইন্দোনেশিয়া থেকে আসছে ১ কোটি ৩১ লাখ লিটার পাম অয়েল

অর্থনীতি

টিবিএস রিপোর্ট
04 May, 2022, 12:50 pm
Last modified: 04 May, 2022, 12:57 pm
নিষেধাজ্ঞার আগেই ইন্দোনেশিয়া ছাড়ে জাহাজটি; বর্তমানে এটি মালাক্কা প্রণালীতে অবস্থান করছে।  

গত ২৮ এপ্রিল বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল রপ্তানিকারক দেশ ইন্দোনেশিয়া পাম অয়েল রপ্তানি নিষিদ্ধ করে। তবে নিষেধাজ্ঞার আগের দিন (২৭ এপ্রিল) ১ কোটি ৩১ লাখ লিটার পাম অয়েল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয় একটি জাহাজ।

দেশের শীর্ষস্থানীয় আমদানিকারক টিকে গ্রুপ এসব পাম অয়েল আমদানি করছে।

মেরিন ট্রাফিক ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, এমটি সুমাত্রা পাম জাহাজটি গত ২৭ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার লুবুক গেয়াং সমুদ্রবন্দর থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।  জাহাজটি বর্তমানে মালাক্কা প্রণালীতে রয়েছে।

জাহাজটির স্থানীয় প্রতিনিধি মোহাম্মদী ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক কাজী আবু নাঈম জানান পাম অয়েলবাহী জাহাজটি ৬ মে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছবে।

ইন্দোনেশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটির ধারণক্ষমতা  ১৬৯৮৯ টন (ডিডব্লওটি)। জাহাজটির ড্রাফট ৮.১ মিটার এবং এটি ১৪৪.৪৭ মিটার লম্বা।

টিকে গ্রুপের পরিচালক তারিক আহমদ বলেন, 'আমদানি অব্যাহত রাখতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। সরকারের দিক থেকেও অভয় দেওয়া উচিত, যাতে আমদানি অব্যাহত থাকে।'

পাম তেল রপ্তানিতে বিশ্বের শীর্ষ দেশ ইন্দোনেশিয়া ২৮ এপ্রিল থেকে পাম তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। নিষেধাজ্ঞার সময় রপ্তানি করায় দুটি জাহাজ আটকও করে দেশটির নৌবাহিনী। তবে ২৭ এপ্রিল চট্রগ্রাম বন্দর অভিমুখে যাত্রা করে এমটি সুমাত্রা পাম জাহাজ।

ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশের অন্তত ২০ হাজার টন পাম তেল আমদানি আটকে গেছে বলে আমদানিকারক সূত্রে জানা গেছে। নিষেধাজ্ঞার আগে এই তেল আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছিল। কোন আমদানিকারকের পণ্য আটকে গেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়ার দেওয়া নিষেধাজ্ঞার আগে ১ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ১২ কোটি লিটার পাম তেল আমদানি করেছেন এ দেশের ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশে বছরে প্রায় ১৩ লাখ টন পাম তেল আমদানি হয়, যার ৯০ শতাংশ আমদানি হয় ইন্দোনেশিয়া থেকে। মালয়েশিয়া থেকে আমদানি হয় ১০ শতাংশ। 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.