বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে চায় থাইল্যান্ড: রাষ্ট্রদূত

অর্থনীতি

ইউএনবি
15 April, 2022, 07:15 pm
Last modified: 16 April, 2022, 10:40 am
দুই দেশই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

শুধুমাত্র তৈরি পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভর না করে দেশের আয়ের উৎসকে বৈচিত্র্যময় করতে পারলে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও টেকসই হবে বলে জানিয়েছে থাইল্যান্ড।

ঢাকায় নিযুক্ত থাই রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতেও আগ্রহী।

রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর সম্প্রতি বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'তৈরি পোশাকের ডিজাইনের বিষয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এবং স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোকে বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতা করার যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে আরএমজি পণ্যের দাম বাড়ানোর কথাও বিবেচনা করা উচিত বাংলাদেশের।'

তিনি বলেন, দুই দেশই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ তার ক্রমবর্ধমান মাথাপিছু আয় দিয়ে ক্রমান্বয়ে দেশ গড়েছে।

তিনি আরও বলেন, মহামারি সত্ত্বেও অব্যাহত জিডিপি প্রবৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ কয়েক বছরের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে।

মাকাওয়াদি বলেন, তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের সাফল্য মুগ্ধ করার মতো এবং বাংলাদেশকে যথার্থভাবে 'ওয়ার্ড্রোব অফ দ্য ওয়ার্ল্ড' বলা যেতে পারে। নিজেদের এই অসাধারণ কাজের প্রমাণ বিশ্বের কাছে দিয়েছে বাংলাদেশ।

এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত সুমিতমোর বলেন, বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থাইল্যান্ডের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাব্যতার বিষয়ে একটি সমীক্ষা চালাচ্ছে। যদি এ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় তবে শুল্ক নিয়ে প্রতিবন্ধকতা হ্রাস পাবে এবং বাণিজ্য প্রবাহ বৃদ্ধি করবে।

তিনি আর বলেন, থাইল্যান্ড স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জন্য শুল্কমুক্ত কোটা ফ্রি (ডিএফকিউএফ) প্রকল্প অনুমোদন করেছে। যার অর্থ বাংলাদেশ শুল্ক ছাড়াই থাইল্যান্ডে সাত হাজার ১৮৭টি কৃষি ও শিল্প পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

থাই রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির একটি উপায় হচ্ছে সরাসরি সমুদ্র পরিবহন রুট স্থাপন করা।

'আমরা গত ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম বন্দর এবং রনং বন্দরের মধ্যে সরাসরি উপকূলীয় শিপিং পরিষেবা চালু করার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি,' বলেন তিনি। 

আগে শিপমেন্টগুলো সিঙ্গাপুর বা শ্রীলঙ্কার মাধ্যমে ট্রানজিট করতে হয়, যার জন্য ১২-১৫ দিন সময় লাগত। তবে দুই বন্দরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী সময় ও খরচ কমাতে রনং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি উপকূলীয় শিপিং রুট স্থাপনের চেষ্টা করছে দুই দেশ। এটি বাস্তবায়িত হলে শিপমেন্টগুলো পরিবহনের সময় অন্তত তিন দিন কমে যাবে।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.