‘যমুনা নদীর অর্থনৈতিক করিডোর জিডিপিতে ৩৬৪ বিলিয়ন ডলার যোগ করতে পারে’
যমুনা নদীর অর্থনৈতিক করিডোর উন্নয়ন হলে বাংলাদেশের জিডিপিতে ৩৬৪ বিলিয়ন ডলার যোগ হবে।
আজ সোমবার 'যমুনা নদীর ইকোনমিক করিডোর উন্নয়ন: সম্ভাবনা, প্রতিবন্ধকতা এবং কৌশল প্রনয়ণ' শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেছেন পানি সম্পদ বিশেষজ্ঞ ড. এস এম হাবিবুল্লাহ বাহার।
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির আয়োজিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি বলেন, এ করিডোর বাস্তবায়নের প্রাথমিক পরিকল্পনায় ১২ বিলিয়ন ডলার লাগতে পারে।
"এজন্য নদী প্রশিক্ষণ, কার্যকর পলি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা, বন্যার ঝুঁকি কমানোর কাজ করতে হবে," বলেন বাহার।
তিনি বলেন, নদী প্রশিক্ষণ, তীর সুরক্ষা, জমি উদ্ধার এসবের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই পরীক্ষা করতে হবে।
"এসবের জন্য ১২ বিলিয়ন ডলার লাগতে পারে, কিন্তু এ বিনিয়োগ জিডিপি'তে ৩৬৪ বিলিয়ন ডলার যোগ করবে," বলেন তিনি।
এ পরিকল্পনা নিয়ে এগোনোর আগে যমুনা নদী ও এর সংযুক্ত নদী, উপনদী ও শাখা নদীগুলোর ওপর সামগ্রিক গবেষণা চালানোর পরামর্শ দেন তিনি।
অতিরিক্ত পলি জমার সমস্যা নিরসনে এ সম্পর্কিত মাস্টার প্ল্যান ও ব্যবস্থাপনা কৌশল নির্ধারণের পরামর্শ দেন হাবিবুল্লাহ বাহার।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম তার বক্তব্যে বলেন, নদী ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা ভাবছে সরকার।
বর্তমানে পলি ব্যবস্থাপনা ও তীর সুরক্ষা কেন্দ্রিক ৫,৫০০ কোটি টাকার নদী সংশ্লিষ্ট প্রকল্প আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।