দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিপর্যস্ত রেস্তোরাঁ ব্যবসা

অর্থনীতি

টিবিএস রিপোর্ট
13 March, 2022, 10:00 am
Last modified: 13 March, 2022, 10:10 am
এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে সরকারের কাছে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য দেওয়া দাবি জানান সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেন, “তাহলে অনেকেই টিকে থাকতে পারবেন। ন্যায্য মূল্যে পণ্য পেলে তাদের খরচ কিছুটা পোষাবে।”

করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি দেশের হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো। এরমধ্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে আরও বিপর্যয়ে পড়েছে এ খাত। লোকসানে পড়ে বন্ধ হওয়ার পথে রয়েছে অনেক হোটেল-রেস্তোরাঁ। শনিবার বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ৩৪তম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় এমন তথ্যই দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে এ সভায় সারা দেশের বিভিন্ন এলাকার রেস্তোরাঁ মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, "করোনার সময়ে আমাদের যে লোকসান হয়েছে, সেটা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু এরমধ্যে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি আমাদের থমকে দিয়েছে। বরং এখন পণ্যের দামের কারণে খাবার বিক্রি করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। আমরা আর টিকতে পারছিনা।"

তিনি বলেন, "দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতির পরেও কোনো হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবারের দাম বাড়ানো হয়নি। যদিও মজুরি ও খরচ অনেক গুণ বেড়েছে। কম টাকায় মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। এরমধ্যে গ্যাস পানির দামও বাড়ানো হচ্ছে বলে খবর পেয়েছি। এ পরিস্থিতিতে সর্বস্বান্ত হওয়া ছাড়া গতি নেই। লোকসানে সবাই রেস্তেরাঁ বন্ধ করে দিচ্ছেন।"

এ খড়গ থেকে পরিত্রাণ পেতে সরকারের কাছে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য দেওয়া দাবি জানান মহাসচিব ইমরান হাসান। তিনি বলেন, "তাহলে অনেকেই টিকে থাকতে পারবেন। ন্যায্য মূল্যে পণ্য পেলে তাদের খরচ কিছুটা পোষাবে।"

তিনি আরও বলেন, "এরমধ্যে গত বছর আমাদের যে ভ্যাট কমানো হয়েছিল, সে সুবিধায় শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। আমরা ভ্যাটের রেয়াত নিতে পারছি না। এ জন্য সমস্যা সমাধান হয়নি। আবার সারা দেশে ভ্যাট চালু হয়নি। কেউ দিচ্ছেন, কেউ দিচ্ছেন না। এজন্য অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে।"
ইমরান জানান, কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষেরা যেসব হোটেলে খায়, সেখানে আগামী বাজেটে ভ্যাট ৩ শতাংশ করার দাবি করেছেন তারা। এ ব্যাপারে প্রস্তাব দিয়েছেন এনবিয়ার-এর কাছে। পাশাপাশি ট্যাক্স দশমিক ৫ শতাংশ করারও দাবি জানানো হয়েছে। 

তিনি বলেন, "এ পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের ওপর মোবাইল কোর্টের নামে জুলুম চালানো হচ্ছে। আপনারা (সরকার) জানেন আমরা পুরোপুরি অদক্ষ মানুষ নিয়ে কাজ করি। আপনারা আগে রেস্তোরাঁ কর্মীদের ট্রেনিং দেন। আমাদের শেখান, কীভাবে শতভাগ নিরাপদ খাদ্য পরিবেশন করা যায়।"

অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি ওসমান গনি, সহসভাপতি শাহ সুলতান খোকন, সহসভাপতি এম রেজাউল করিম সরকার রবিন, সমিতির প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন, প্রথম যুগ্ম মহাসচিব ফিরোজ আলম সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ আন্দালিব, কোষাধ্যক্ষ তৌফিকুল ইসলাম খানসহ সারাদেশের বিভিন্ন ইউনিটের রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.