ফেব্রুয়ারি থেকে ইউরোপে দ্রুত, কম খরচে রপ্তানি করা যাবে

অর্থনীতি

27 January, 2022, 11:50 pm
Last modified: 28 January, 2022, 02:34 am
জাহাজে চালান পাঠানোর সময় ও খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমাবে চট্টগ্রাম-ইতালি সরাসরি পণ্য পরিবহনের রুট

বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম পোর্ট থেকে ইউরোপের সাথে সমুদ্রপথে শুরু হচ্ছে সরাসরি কন্টেনার জাহাজ চলাচল। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ১১শ টিইইউএস (টুয়েন্টি ফুট ইকুয়েভিলেন্ট ইউনিট) রপ্তানি পণ্য নিয়ে ইতালির রেভনা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এই রুটের প্রথম জাহাজ- সোঙ্গা চিতা।

প্রাথমিকভাবে দুটি জাহাজ ২৫ দিন পর পর চট্টগ্রাম থেকে রপ্তানি পণ্য পরিবহন করবে। এতে শিপিংয়ের খরচ ও সময় দুইই কমবে। খরচ কমবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে। ফলে প্রতিযোগিতামুলক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরো দৃঢ় হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

রপ্তানি পণ্য নিয়ে মাত্র ১৬ দিনের মাথায় চট্টগ্রাম থেকে ইতালি পৌছাবে জাহাজটি। বর্তমানে বিভিন্ন ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হয়ে যেমন- সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং, শ্রীলঙ্কার কলম্বো পোর্ট হয়ে ইউরোপ পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ৪০ দিন। নতুন রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ায় পণ্য পৌছাতে সময় কমবে ২৪ দিন। ব্যয় কমবে প্রায় ৪০ শতাংশ।

ইতালিয়ান শিপিং কোম্পানি ক্যালিপসো কোম্পাজনিয়া ডি নেভিগ্যাজোনে এসপিএ দুটি কন্টেইনার জাহাজ- সোঙ্গা চিতা ও কেপ ফ্লোরেসের মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য পরিবহন করবে।

কেপ ফ্লোরেস জাহাজটি মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজ। এটির ড্রাফট ৮ দশমিক ৬৬ মিটার। কন্টেইনার ধারণ ক্ষমতা ১,২০০ টিইইউএস। দৈর্ঘ্য ১৫৪ দশমিক ৪৭ মিটার এবং প্রস্থ ২৫ দশমিক ১৯ মিটার।

রপ্তানি পণ্য পরিবহনের জন্য সোঙ্গা চিতা জাহাজটি বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের পথে রয়েছে। লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী ৬ দশমিক ২ মিটার ড্রাফটের এই জাহাজটি আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌছাবে। বাংলাদেশে জাহাজ দুটির স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে রিলায়েন্স শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস।

রিলায়েন্স শিপিং এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, "সোঙ্গা চিতা জাহাজটি ইতালির রেভেনা বন্দর থেকে ৯৪৫ টিইইউএস খালি কন্টেইনার এবং ৭ টিইউউএস গার্মেন্টস এর কাঁচামাল নিয়ে গত ১৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। এটি আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। বন্দরে পৌছানোর পর সরাসরি বার্থিং পেলে কন্টেইনার বোঝাই করে ৭ অথবা ৮ ফেব্রুয়ারি ইতালির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।"

তিনি আরো বলেন, "জাহাজটিতে ১১শ টিইউএস কন্টেইনার ১৬ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন রপ্তানি পণ্য বহন করবে। এর মধ্যে ৯৮ শতাংশ তৈরি পোশাক এবং বাকি ২ শতাংশ হ্যান্ডিক্রাফট ও চামড়া, পাট জাতীয় পণ্য। পণ্যগুলো রেভেনা বন্দরে পৌছানোর পর সেগুলো ক্রেতাদের চাহিদামতো ইউরোপের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌছে দেওয়া হবে।"

এর আগে, কেপ ফ্লোরেস খালি কন্টেইনার নিয়ে ২৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছিল কিন্তু ফিরতি পথে এটি কোনো রপ্তানি পণ্য বহন করেনি।

বর্তমানে ইতালিভিত্তিক কন্টেইনার জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইউরোপের রটারড্যাম, অ্যান্টওয়ার্প ও হামবুর্গের মতো মূল বন্দরে (বেজ পোর্ট) যাওয়ার আগে সিঙ্গাপুর, কলম্বো, তানজুম পালাপাস, কেলাস ও চীনের কিছু  ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের আবার ইতালি যেতে হয়।  

কিছু ক্ষেত্রে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর থেকে মাদারভ্যাসেলে মাল বোঝাই করে ইতালি পর্যন্ত পরিবহন করা হলেও, মাদারভ্যাসেল না থাকলে বেশিরভাগ সময়ে ইউরোপীয় মূল বন্দরে কন্টেইনার আনলোড করা হয়। সেখান থেকে আবার ফিডার জাহাজে তা ইতালি পাঠাতে হয়।

রপ্তানি বাণিজ্যে আসবে নতুন গতি:

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই উদ্যোগ জাহাজের স্থায়ী পরিচালন ব্যয়সহ রপ্তানি-আমদানি বাণিজ্যে খরচ কমিয়ে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী করবে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, বাংলাদেশের ৫১ শতাংশ রপ্তানির গন্তব্যই হলো ইউরোপ।

তাই এই রুটটি জনপ্রিয় হলে দেশের রপ্তানি খাতে একটি নতুন মাইলফলক তৈরি হবে জানিয়ে তারা বলেন, এতে নতুন ক্রেতা আকৃষ্ট হবে এবং দেশের রপ্তানি খাত প্রসারিত হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, এই রুটে পরীক্ষামূলক শিপিং ইতিমধ্যেই সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

গত বছরের এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা এবং মালয়েশিয়ার ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরে বাংলাদেশের প্রায় ২৫ হাজার আমদানি পণ্যবোঝাই কন্টেইনার আটকা পড়ে। শিল্পের কাঁচামাল সময়মতো কারখানায় না পৌছায় বন্ধ হয়ে যায় উৎপাদন।  সময়মতো ক্রেতার কাছেও পৌছানো যায়নি রপ্তানি পণ্য। এতে ব্যবসায়ীদের চরম আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। পরবর্তীতে অতিরিক্ত ফিডার জাহাজ দিয়ে এসব কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়ে আসতে হয়েছিল।

বর্তমানেও ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরে জটের কারণে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরটি ২০২১ সালে ১৫.২৫ লাখ টিইইউ রপ্তানি কন্টেইনার হ্যান্ডল করেছে। গত ডিসেম্বরে হ্যান্ডেল করেছে এক লাখ ৩০ হাজার টিইইউ রপ্তানি কন্টেইনার।

বন্দর সূত্রগুলি টিবিএসকে জানিয়েছে, ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরে আনলোড করে মূল গন্তব্যে পাঠানোর পর এই পণ্যগুলির কতটুকু ইউরোপ বা অন্যান্য মহাদেশে পরিবহন করা হয় তার কোনো পরিসংখ্যান তাদের কাছে নেই।

অবশ্য বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এবং শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, দেশের সামগ্রিক রপ্তানি বাণিজ্যের ৫৫ শতাংশই হয় ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে।

বাংলাদেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৮২ শতাংশ পোশাক পণ্য।

গত বছর প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ১.২৭ লাখ টিইইউ রপ্তানি কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে, যার মধ্যে শুধু ইউরোপে যায় ৫৭,২০০ টিইইউ কন্টেইনার। 

বিজিএমইএ'র প্রথম সহ সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, "বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বৃহত্তম বাজার ইউরোপ।  নতুন রুটে অর্ধেক সময় কমবে যা দেশের রপ্তানি খাতের জন্য খুবই ইতিবাচক সংবাদ।"

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ইকবাল আলী শিমুল বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ৫১ শতাংশ রপ্তানিপণ্যের গন্তব্য ইউরোপ। এছাড়া ২৫ শতাংশ আমেরিকা, এশিয়া ২০ শতাংশ, কানাডায় ৪ শতাংশ যায়।  

শিপিং লাইনগুলোর সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলি জানায়, বিদেশী ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে ফ্রি অন বোর্ড (এফওবি) ভিত্তিতে পণ্য নেয়, সেক্ষেত্রে ক্রেতারা জাহাজ ভাড়া বহন করে।

বর্তমানে, ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট থেকে ইতালিতে একটি ৪০ ফুটি কন্টেইনার জাহাজ পরিবহনের ভাড়া শিপিং লাইনের উপর নির্ভর করে ১০-১৪ হাজার ডলারের মধ্যে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, নতুন রুটে মালবাহী চার্জ ৬-৭ হাজার ডলার হতে পারে।

দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৯২ শতাংশই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হয়। কন্টেইনার শিপমেন্টের ৯৮ শতাংশও হয় এখানেই। তবে জাহাজের সময়সূচি অনুযায়ী বন্দরে পণ্য পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে রপ্তানিকারকরা অনেক সময় আকাশপথে পণ্য পাঠাতে বাধ্য হন। এতে পরিবহন খরচ বহুগুণ বেড়ে যায়। 

বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, "ফিডার ভ্যাসেলে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরে পণ্য পৌছাতে একদিন দেরি হলেও মাদার ভেসেল মিস করার আশঙ্কা থাকে। অনেক সময় মাদার ভেসেলের শিডিউল পেতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য না নিয়েও ফিডার জাহাজ চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে নির্দিষ্ট সময়ে গ্রাহকদের কাছে পণ্য পাঠানো অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এ বাস্তবতায় ইউরোপের সাথে নতুন জাহাজ চলাচলের পথ দেশের রপ্তানি খাতে বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।"

ব্যবসায়ীরা ইউরোপ ও আমেরিকার অন্যান্য বন্দরে সরাসরি কন্টেইনার জাহাজ চলাচলের জন্য কর্তৃপক্ষকে আরও রুট তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, "এটি বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন। ইউরোপের সাথে সরাসরি পণ্য পরিবহন দেশের রপ্তানি খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এই সেবা যাতে ব্যাহত না হয় তা কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।"  

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, "ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হয়ে ইউরোপে পাঠানোর সময় পণ্য লোড, আনলোড, ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরের স্টোর চার্জসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যয় বহন করতে হয়। সরাসরি পরিবহনের কারণে বিশাল অংকের টাকা বেঁচে যাবে। পণ্য পরিবহন ব্যয় কমে যাওয়ায় বিদেশি ক্রেতারা লাভবান হবে। এটি নতুন ক্রেতা সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা রাখবে।"

যেকারণে উদ্যোগটি নেওয়া হয়:  

মেইন-লাইন অপারেটররা (এমএলও) পূর্বে ইতালির সাথে সরাসরি কন্টেইনার পরিষেবা চালু করার জন্য কোনও পদক্ষেপ নেয়নি; কারণ এই ধরনের পরিষেবা চালু হলে পর্যাপ্ত কার্গো পাওয়া হবে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই মেইন-লাইন অপারেটর হলো বাহক সংস্থা যারা বাণিজ্যের প্রধান প্রধান রুটে জাহাজ নিয়োগ করে। 

মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, "করোনা পরিস্থিতিতে মেইন লাইনগুলো ঠিকভাবে কন্টেইনার সরবরাহ করছে না। ফ্রেইট চার্জ ক্ষেত্র বিশেষে প্রায় ১০ গুণ বেড়ে গেছে। আমাদের প্রিন্সিপাল বর্তমানে এই বিষয়গুলো নিয়ে সাফার করছে। বাড়তি টাকা ব্যয় করেও সঠিক সময়ে পণ্য সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে। তাই আমাদের প্রিন্সিপাল সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিজেরাই জাহাজ চার্টার করবে, নিজেরাই কন্টেইনার দিয়ে, নিজেরাই নিয়ে যাবে। এমন বাস্তবতা থেকে চট্টগ্রাম- ইতালি রুটে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু করেছে। আশা করছি, অন্য মেইন লাইন অপারেটরও এই রুটে জাহাজ চলাচল শুরু করতে উদ্যোগী হবে। তখন ফ্রেইট চার্জ আরো কমে যাবে।"  

প্রিন্সিপ্যাল বলতে জাহাজের মালিক/ চার্টারার অথবা ব্যবস্থাপক এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বোঝানো হয়- যাদের একটি কোম্পানি এবং/অথবা বাহক দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা হয়। এর মাধ্যমে কোম্পানির পরিষেবাগুলি সরবরাহ করা হয়।

বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশের মধ্যে সড়কপথে সংযোগ থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে রাশেদ বলেন, "ইতালিতে পণ্য পৌছার পর বেশিরভাগ পণ্য সড়ক পথে গন্তব্যে পৌছে দেওয়া হবে। আবার যেসব পণ্য ফিডার ভ্যাসেলে পরিবহন প্রয়োজন; সেগুলো ফিডার ভ্যাসেলে গন্তব্যে পৌছে দেবে।"

বড় শিপিং লাইনগুলো এখনও তেমন আগ্রহী নয়:

মেডিটেরিয়ান শিপিং কোম্পানির (এমএসসি) সহকারী মহাব্যবস্থাপক আজমীর হোসাইন চৌধুরী টিবিএসকে বলেন, ইতালির সাথে সরাসরি জাহাজ চলাচলের বিষয়টিকে আমরা ইতিবাচকভাবেই দেখি। তবে কতটুকু সফল হবে তা দেখার বিষয়। 

"এখানে একটি নিদৃষ্ট শিপিং লাইনের পণ্য পরিবহন হবে, যা পরিমাণে খুবই কম। তাছাড়া, চট্টগ্রাম বন্দরের গভীরতা কম হওয়ায় মাদার ভেসেল ভেড়ানো সম্ভব নয়। তাই ছোট জাহাজে করেই ইতালিতে পণ্য পরিবহন করতে হবে। তাতে দূর্ঘটনার ঝুঁকি থেকে যায়।"

বড় শিপিং লাইনগুলো ছোট জাহাজ দিয়ে ইতালিতে পণ্য পাঠাতে তেমন আগ্রহী নয়। তবে বে টার্মিনাল হয়ে গেলে ইউরোপে সরাসরি পণ্য পরিবহনে শিপিং লাইনগুলো এগিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.