বাংলাদেশে ব্যবসা করার প্রধান বাধা ঘুষ ও দুর্নীতি: মার্কিন প্রতিবেদন

অর্থনীতি

টিবিএস রিপোর্ট
31 March, 2024, 01:00 pm
Last modified: 31 March, 2024, 01:00 pm

গত ২৯ মার্চ প্রকাশিত '২০২৪ ন্যাশনাল ট্রেড এস্টিমেট রিপোর্ট অন ফরেন ট্রেড ব্যারিয়ারস' প্রতিবেদনে বাংলাদেশে সরকারি কেনাকাটা, মেধা-সম্পদ সংরক্ষণ, ডিজিটাল বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শ্রমিক অধিকারের মতো বিষয়গুলোতে বিভিন্ন বাধা চিহ্নিত করা হয়েছে।

ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড-এর প্রতিনিধি ক্যাথরিন তাই প্রকাশিত এনটিই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু বাধার মুখোমুখি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে পণ্য ও সেবা রপ্তানি, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ও ই-কমার্সের ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়ে।

১৯৮৫ সাল থেকে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে এনটিই প্রতিবেদন। এ বছরের এনটিই প্রতিবেদনে ৫৯টি বাজারে উল্লেখযোগ্য বৈদেশিক বাণিজ্য বাধাগুলো তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে দুর্নীতি একটি ব্যাপক ও দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। আর দুর্নীতিবিরোধী আইনের প্রয়োগ যথেষ্ট নয়।

এতে আরও বলা হয়, ঘুষের লেনদেন এবং উপহার অবৈধ হওয়া সত্ত্বেও বাণিজ্যিক লেনদেনে ঘুষ ও চাঁদাবাজি সাধারণ বিষয়। লাইসেন্স পাওয়ার জন্য ঘুষ দিতে বাধ্য হতে হয় বলেও অভিযোগ করেছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো। 

সরকারে কেনাকাটায় দুর্নীতিবিরোধী নিয়ম দুর্বল করার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো অভিযোগ করেছে, বাংলাদেশে সরকারি কর্মকর্তারা ঘুষ চাওয়ায় লাইসেন্স ও দরপত্রের অনুমোদন পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়।

'দুর্নীতিবিরোধী প্রধান সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) স্বাধীনতা খর্ব করার জন্যও ক্রমাগত প্রস্তাব এসেছে।'

এতে আরও বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন বিলে (সরকারি চাকরি আইন) কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে দুদককে। সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে দুদকের ক্ষমতা সীমিত করেছে এ আইন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি কেনাকাটা মূলত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬-এর অধীনে পাবলিক টেন্ডারের মাধ্যমে করা হয় এবং সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট দ্বারা পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ প্রকাশ্যে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক টেন্ডার নীতি মানলেও দুর্নীতির অভিযোগ খুবই সাধারণ। বাংলাদেশ একটি জাতীয় ইলেকট্রনিক সরকারি ক্রয় পোর্টাল চালু করেছে। কিন্তু মার্কিন স্টেকহোল্ডাররা পুরনো প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। পাশাপাশি তারা পছন্দের দরদাতার স্বার্থে পক্ষপাতমূলক শর্ত জুড়ে দেওয়া এবং দরপত্রের সামগ্রিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.