বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে অনিয়ম, ৯ ব্যাংকের জড়িত কর্মকর্তাদের বদলির নির্দেশ

অর্থনীতি

টিবিএস রিপোর্ট
10 February, 2024, 09:40 am
Last modified: 10 February, 2024, 11:21 am
প্রবাসী কর্মজীবী ও বিদেশ থেকে আসা বাংলাদেশের ভ্রমণকারীরা তাদের সঙ্গে আনা বিদেশি মুদ্রা বিমানবন্দরে থাকা ব্যাংকের বুথ ও মানি এক্সচেঞ্জারে বাংলাদেশি টাকায় এনক্যাশমেন্ট করে থাকেন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে অনিয়মের কারণে সরকারি-বেসরকারি ৯টি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের ডেকে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে অনিয়মে জড়িত কর্মকর্তাদের বদলি করতেও তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানের নেতৃত্বে ব্যাংকগুলোর নির্বাহীদের সঙ্গে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রবাসী কর্মজীবী ও বিদেশ থেকে আসা বাংলাদেশের ভ্রমণকারীরা তাদের সঙ্গে আনা বিদেশি মুদ্রা বিমানবন্দরে থাকা ব্যাংকের বুথ ও মানি এক্সচেঞ্জারে বাংলাদেশি টাকায় এনক্যাশমেন্ট করে থাকেন।

নিয়ম অনুযায়ী, ফরেন কারেন্সি এনক্যাশমেন্ট ভাউচার গ্রাহককে দিতে হয়। কিন্তু ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জারের কিছু কর্মকর্তা ভাউচার না দিয়ে বা জাল ভাউচার দিয়ে সরাসরি বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে এর বিনিময়ে টাকা দিয়ে দেন, যা মানি লন্ডারিং।

বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে অনিয়মে জড়ানো চারটি সরকারি ব্যাংক হলো- সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। আর বাকি ৫টি বেসরকারি খাতের বাণিজ্যক ব্যাংকগুলো হলো- পূবালী, যমুনা, সিটি ব্যাংক, মিচুউয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক।

সম্প্রতি এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে একটি লিখিত অভিযোগ আসে। অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবার শাহজালাল বিমানবন্দরে অভিযান চালায় দুদকের একটি দল। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা মেলে।

দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে যে বৈদেশিক মুদ্রা আসে, তা ব্যাংকিং চ্যানেলে রিজার্ভে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু কিছু অসাধু কর্মকর্তা ব্যাংকিং চ্যানেলে না দেখিয়ে ডলার কিনে খোলাবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। পরে অনেক সময় তা বিদেশে পাচার হয়ে যায়।

দুদকের অভিযানে দেখা যায়, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা শাহজালাল বিমানবন্দরে বেশি বিনিময় করেন ডলার, ইউরো, রিয়াল, রিঙ্গিত, পাউন্ড ও দিনার।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.