সরকার নির্ধারিত দামে মিলছেনা আলু, পেঁয়াজ, ডিম
সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ভোক্তাদের কিনতে হচ্ছে আলু, পেঁয়াজ ও ডিম।
গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খুচরা বাজারে প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা, আলুর দাম প্রতি কেজি ৩৫-৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম ৬৪-৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।
শুক্রবার রাজধানীর মগবাজার আমবাগান এলাকা সহ মোড়ের দোকানগুলোতে ফার্মের মুরগির ডিম ১৩ টাকা পিস বিক্রি হতে দেখা যায়। এছাড়াও প্রতি কেজি আলু ৫০ টাকা কেজি, দেশি পেঁয়াজ ৮৫-৯০ টাকা এবং ভারতের আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭৯ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে পণ্য বিক্রি করছেন না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে বিক্রেতারা জানান, বেশি দামে তাদের পণ্য কেনা ছিল তাই সেই অনুযায়ী বিক্রি করছেন তারা।
আমবাগান এলাকার মুদি দোকানদার হৃদয় হোসেন বলেন, "আমি ডিম কিনেছি পাইকারি ১২.৫০ টাকা। সে হিসেবে এক হালির দাম ৫০-৫৩ টাকা যদি না বিক্রি করি, তাহলে তো আমাদের খরচই উঠবে না।"
তিনি বলেন, পাইকারিতে দাম না কমলে খুচরায় কমবে না।
কারওয়ান বাজারে প্রায় ২০টি দোকানের তথ্য নিয়ে দেখা গেছে, সেখানেও সরকার নির্ধারিত দামে এসব নিত্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে না।
কারওয়ান বাজার থেকে সাব্বির হোসেন নামের এক ক্রেতা এক কেজি পেঁয়াজ ৭৫ টাকায় ও আলু ৪৫ টাকায় কেনেন। তিনি বলেন, "সরকার শুধু দাম নির্ধারণ করলেই হবে না। বাজার মনিটরিংও করতে হবে।"
কারওয়ান বাজারে পাইকারি আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৭৪ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৮ টাকায়।
এখানকার পাইকারি বিক্রেতা ফারুখ হোসেন বলেন, "আলু কোল্ডস্টোরেজ থেকে দাম নির্ধারণ করে দিতে হবে। তাহলে আমরা কম দামে কিনতে পারবো।"
তিনি বলেন, "কারওয়ান বাজারে যখন ট্রাকে আলু আসে তখন আমরা ৪১-৪২ টাকা কেজি কিনেছি। আমাদের দোকান ভাড়া দিতে হয়, এরপর অনেক সময় পচা ও ছোট আলু থাকে সেটা কম দামে বিক্রি করতে হয়। তাই ৪৫ টাকার নিচে পাইকারি বিক্রি করলে আমাদের লাভ থাকে না।"
কারওয়ান বাজারের জব্বার স্টোরের বিক্রেতা আজিজুর বলেন, "সরকার যখন বাড়ায় তখন পাইকারি ব্যবসায়ীরা সঙ্গে সঙ্গে দাম বাড়িয়ে দেন। কিন্তু যখন সরকার দাম কম নির্ধারণ করে, তখন সেটা কার্যকর করে না। সরকার দাম কমাতে বললে কমে না, কিন্তু দাম বাড়াতে বললে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে।"
তিনি বলেন, "আগে আলু, পেঁয়াজ বেশি দামে কেনা ছিল তাই আমরা এখন আগের দামেই বিক্রি করছি। তবে নতুন করে পাইকারিতে দাম কমানো হলে আমরাও সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারবো।"