দ্বিতীয় কিস্তিতে বাংলাদেশকে ১০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করল শ্রীলঙ্কা

অর্থনীতি

টিবিএস রিপোর্ট
01 September, 2023, 12:05 pm
Last modified: 01 September, 2023, 12:10 pm
১০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে নেওয়া ঋণের ৭৫ শতাংশ ফেরত দিল শ্রীলঙ্কা। এর আগে ২১ আগস্ট ৫০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়। 

১০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে নেওয়া ঋণের ৭৫ শতাংশ ফেরত দিল শ্রীলঙ্কা। দুই বছর আগে কারেন্সি সোয়াপ চুক্তির আওতায় ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ নেয় দেশটি। এর আগে ২১ আগস্ট ৫০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়। 

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'শ্রীলঙ্কা বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) আমাদের কাছে ১০০ মিলিয়ন ডলার ফেরত দিয়েছে। বাকি ৫০ মিলিয়ন ডলার তারা যথাসময়ে ফেরত দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে ২০২১ সালের আগস্টে দেশের রিজার্ভ থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেয় বাংলাদেশ। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তার মতে, যদিও তিন কিস্তিতে নয় মাসের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধের কথা ছিল। তবে আর্থিক সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কার সুবিধার্তে পরিশোধের সময় তিনবার বাড়িয়ে ২৭ মাস করা হয়েছে। 

বর্ধিত মেয়াদ সেপ্টেম্বরে শেষ হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা। 

চুক্তি অনুযায়ী, ঋণের বিপরীতে শ্রীলঙ্কা লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফার রেট (লিবোর) এর পাশাপাশি বাংলাদেশকে ১.৫ শতাংশ সুদ প্রদান করার কথা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, চুক্তি অনুসারে প্রথম কিস্তিতে শ্রীলঙ্কা ১.৫ শতাংশ সুদের পাশাপাশি বর্তমান ৫.৪ শতাংশ লিবোর হার প্রদান করেছে।  

দেশটি আরও ৫০ মিলিয়ন ডলার ফেরত দেওয়ার কথা রয়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ঘাটতির কারণে দ্বীপরাষ্ট্রটি ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল। শ্রীলঙ্কা এখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ২.৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়ার জন্য আলোচনা করছে। 

আইএমএফের বেলআউটের জন্য অপরিহার্য হলো বহিরাগত ঋণ পুনর্গঠন করা, যা সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।

শ্রীলঙ্কা সম্প্রতি জানিয়েছে, দেশের মূল্যস্ফীতি ৬.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। এর মাধ্যমে দুই বছরের মধ্যে প্রথমবার মূল্যস্ফীতি এককের ঘরে নেমেছে। 

পর্যটন ও রেমিটেন্স থেকে আসা ডলারের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে। বিষয়টি ঋণ পুনর্গঠনের মাধ্যমে আইএমএফের বেলআউট পেতে দেশটিকে সহায়তা করবে আশা করা হচ্ছে। 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.