বাংলাদেশের ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করল আইএমএফ
বাংলাদেশের ৪.৭ বিলিয়ন তথা ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সোমবার রাতে এক বোর্ড সভায় এ অনুমোদন দেয় সংস্থাটি।
৪২ মাস সময়ে সাতটি কিস্তুিতে এ ঋণ পাবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে প্রথম কিস্তিটি পাওয়া যাবে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ের আগে।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বিষয়টি নিশ্চিত করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, 'আমরা অবশ্যই আইএমএফের প্রতি এ ঋণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ করে, আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আন্তোয়নেট মনসিও সায়েহ এবং মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দসহ যে দলটি এ ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন, তাদের প্রতি জানাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।'
'বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এবং অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যারা এ ঋণ প্রকল্প নিয়ে কাজ করেছেন তাদের প্রতিও রইল আমার কৃতজ্ঞতা,' বলেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, 'অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেছিলেন যে আইএমএফ হয়তো বা আমাদেরকে এ ঋণ দেবে না। তারা ভেবেছিল আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাসমূহ দূর্বল, তাই আইএমএফ এ ঋণ প্রদান থেকে বিরত থাকবে। এ ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমে এটাও প্রমাণিত হলো যে, আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাসমূহ শক্ত ভিতের ওপরে দাঁড়িয়ে আছ এবং অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো।'
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, এ ঋণের একটি শর্ত হিসেবে দেশে দুর্নীতি কমানোর অঙ্গীকার করেছে বাংলাদেশ সরকার।
ওয়াশিংটনভিত্তিক এ দাতাসংস্থাটির সঙ্গে সই করা মেমোরেন্ডাম অব ইকোনমকি অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল পলিসিতে এ অঙ্গীকার জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
দুর্নীতি কমানোর পাশাপাশি আইএমএফের এ ঋণের সঙ্গে আরও ৩০টি শর্ত পেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে জ্বালানির দামের প্রগতিশীল সমন্বয়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে ১০ শতাংশে আনা, খেলাপি ঋণ উদ্ধারে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গঠন, ও বাজারের ওপর বিনিময় হার ছেড়ে দেওয়া ইত্যাদি।