মূল্যস্ফীতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই: অর্থমন্ত্রী

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, 'এখনও দেশে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার ৫.৯ শতাংশ। আর রিজার্ভ নেই নেই বলা হলেও এখনও এর পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন ডলার।'
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, জুন মাসে মূল্যস্ফীতির হার ৭.৫৬ শতাংশ, যা গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত এ তথ্যের সমালোচনা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'মূল্যস্ফীতি কখনও ডেইলি বা উইকলি বেসিসে হিসাব করা হয় না, মান্থলিও নয়। সব সময় বার্ষিক গড় হিসাব করা হয়। বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি হিসাব করলে এখনও আমাদের হার ৫.৯ শতাংশ।'
তিনি বলেন, 'মূল্যস্ফীতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ২০০৯ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি, তখন এটি ছিল ১২.৩ শতাংশ।'
বুধবার সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো শর্তে আইএমএফ থেকে ঋণ সহায়তা নেওয়া হবে না। তাছাড়া, এখনও আইএমএফ বা সরকার কেউই আনুষ্ঠানিক কোনো ঋণ প্রস্তাব দেয়নি।
'অনেকের মনে আতঙ্ক বা সংশয় কাজ করে—কোন শর্তে রাজি হয়ে অর্থ নেওয়া হচ্ছে। আমরা এমন কোনো চুক্তি বা কমিটমেন্ট করব না, যা দেশের জন্য ক্ষতিকর। দেশের স্বার্থের পরিপন্থি শর্তারোপ করলে আমরা অর্থ সহায়তা নেব না,' জানান তিনি।
'আইএমএফ বিভিন্ন সময় কিছু সংস্কার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তাদের যেটি নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন, তা হলো তারা তাদের ঋণের অর্থ সময়মত ফেরত পাবে কি না। আইএমএফ তাদের ঋণের কিস্তি টাইমলি পাচ্ছে। ঋণের আসল ও সুদ পরিশোধে বাংলাদেশ কখনও ব্যর্থ হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না,' বলেন মুস্তফা কামাল।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইএমএফের মতভেদ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা যেভাবে রিজার্ভের হিসাব করি, সেভাবেই করব।'
'২০০৯ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে, তখন রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৭.৯ বিলিয়ন ডলার। পরে তা বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। এখনও রিজার্ভ নাই, নাই বলা হলেও ৪০ বিলিয়ন ডলার আছে।'
অর্থমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিভিন্ন দেশে কী হচ্ছে, সে সম্পর্কে আমরা খোঁজ-খবর রাখছি এবং তার সঙ্গে একোমোডেট করার চেষ্টা করছি।