আখাউড়া স্থলবন্দরে কমেছে রাজস্ব আয়, বেড়েছে আমদানি

অর্থনীতি

19 July, 2022, 07:50 pm
Last modified: 19 July, 2022, 07:55 pm
২০২১-২২ অর্থবছরে এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৬৮০ কোটি ১১ লাখ ৯৯ হাজার ১৭৪ টাকার পণ্য- যা এর আগের অর্থবছর ২০২০-২১ এর তুলনায় ১৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা কম।

২০২১-২২ অর্থবছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রাজস্ব আয় কমেছে, তবে বেড়েছে আমদানি।

সদ্য সমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থবছরে এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৬৮০ কোটি ১১ লাখ ৯৯ হাজার ১৭৪ টাকার পণ্য- যা এর আগের অর্থবছর ২০২০-২১ এর তুলনায় ১৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা কম।

এবার রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

গেল জুন মাসে ত্রিপুরা-আসামসহ কয়েকটি রাজ্যে বন্যার কারণে ত্রিপুরার সঙ্গে সড়ক ও রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে। 

এবার রপ্তানি আয় কিছুটা কমলেও বেড়েছে ভারত থেকে পণ্য আমদানি। ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৮৮ কোটি ৩২ লাখ ৭৮ হাজার ৪৪৮ টাকার পণ্য। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছিল ১ কোটি ৯ লাখ ৯২ হাজার ২১৮ টাকার পণ্য। 

আমদানি করা পণ্যের মধ্যে গম, চাল, পেঁয়াজ, আদা ও সিএনজি পার্টস এবং ভুট্টা রয়েছে। রপ্তানি হয় বরফায়িত মাছ, রড, সিমেন্ট, তুলা, প্লাস্টিক ও এলপি গ্যাসসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে ভারতে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, 'মাছের ওপর ভর করেই স্থলবন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য চলছে। রপ্তানি পণ্যের শতকরা ৮০ শতাংশই মাছ। 

কিন্তু এখন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে তাজা মাছ পাঠানো হয়। এতে করে মাছ রপ্তানি কমছে। এছাড়া ডলারের মূল্য ওঠানামার কারণে আমদানিকারকরা কয়েকটি অর্ডার বাতিল করেছেন। এসব কারণেই এবার রপ্তানি আয় কমেছে'।

প্রায় ২৭ বছর পর গত বছরের আগস্ট মাসে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়। প্রথমে গম, এরপর আসে চাল। শেষে পেঁয়াজ, আদা ও সিএনজি পার্টসও আসে ভারত থেকে। তবে চাল আমদানিতে কম শুল্কের যে সুবিধা সরকার দিয়েছিল, সেটি এখন বন্ধ থাকায় চাল আমদানিও বন্ধ রয়েছে। আর পেঁয়াজ আমদানি খরচ মিটিয়ে ভালো মুনাফা করতে না পারার কারণ দেখিয়ে পেঁয়াজ আমদানিও বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।

এ ব্যাপারে আখাউড়া স্থলবন্দরের পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন বলেন, 'গত বছরের আগস্টে আমদানি শুরু হওয়ার পর বন্দর দিয়ে আমদানিতে ঝুঁকে পড়েন ব্যবসায়ীরা। এতে করে রপ্তানি কিছুটা কমে যায়। তবে সম্প্রতি ডলারের দাম বাড়ার ফলেও রপ্তানি বাণিজ্যে নেতিবাচ প্রভাব পড়ে। আশা করছি নতুন অর্থবছরে আমদানি-রপ্তানি দুটোই চাঙা হবে'।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.