হোম অ্যাপ্লায়েন্সের বাজার হাজার কোটি ডলারে পৌঁছানোর পথে

অর্থনীতি

04 November, 2021, 03:05 am
Last modified: 05 November, 2021, 02:50 am
ইউসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রক্ষেপণ অনুসারে, চলতি দশকে বার্ষিক ১৭ শতাংশ হারে বাজারটি বিকশিত হবে

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও শক্তিশালী ভোক্তা চাহিদায় ভর করে মাত্র এক দশকেই তিনগুণ বেড়ে প্রায় ২৪০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান ইলেকট্রনিক্স অ্যাপ্লায়েন্সের বাজার।  

স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের ইউনিটপ্রতি মূল্য কম রাখতে সরকারিভাবে দেওয়া কর ও শুল্ক ছাড়ের মতো নীতি সহায়তার সুযোগ নিতে দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডগুলো পর্যায়ক্রমে উৎপাদন বৃদ্ধিতে নতুন বিনিয়োগে আসছে। এ বাস্তবতায় চলতি দশকে বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার চাহিদা আরও বাড়বে বলে আভাস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।   

নতুন প্রজন্মের বিনিয়োগ সংস্থা- ইউসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে টেলিভিশন, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন ও অন্যান্য হোম অ্যাপ্লায়েন্সের বাজার চারগুণ বেড়ে ১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।  

গত দশকের ১৪ শতাংশের চেয়ে, চলতি দশকে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ১৭ শতাংশ হবে বলে আশা করছেন সংস্থাটির বিশেষজ্ঞরা।  

স্বাধীনতার আগে রেডিও সেট সংযোজনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেছিল দেশের ইলেকট্রনিক্স শিল্প। এখন এই খাত উচ্চপ্রযুক্তির স্মার্টফোন, ল্যাপটপ থেকে শুরু করে স্থানীয় ভোক্তা চাহিদার প্রায় সবকিছুই সংযোজন করছে।  

সংযোজনেই থেমে নেই, বাড়ছে উৎপাদন প্রচেষ্টা। বাড়ছে দেশে ফ্রিজ, টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন ও অন্যান্য হোম অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদনকারী কারখানার সংখ্যা। তাদের প্রতিযোগিতামূলক মূল্য সংযোজনের ফলে এসব পণ্যের ইউনিটপ্রতি দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমে ভোক্তাদের সাধ্যের মধ্যে চলে আসছে।   

স্থানীয় উৎপাদনে সরকারি প্রণোদনামূলক নীতির কল্যাণে স্থানীয়করণের এ সুযোগ নিতে কোম্পানিগুলো শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে, যা ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত ও স্বচ্ছল শ্রেণির বিশাল স্থানীয় বাজারের জন্য ইউনিটপ্রতি মূল্য কমানোর সহায়ক হয়েছে। 

দেশব্যাপী বিদ্যুতায়ন ও আয় বৃদ্ধি, জনসংখ্যা তাত্ত্বিক ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন, ক্রমবর্ধমান ভোক্তা সক্ষমতা এবং পণ্য ক্রয়ে সহজ অর্থায়নের সুবিধা এই প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।  

'পয়েজড টু আনলক দ্য নেক্সট ওয়েভ: বাংলাদেশ কনজ্যুমার ডিউরেবলস আউটলুক ইন দ্য ফ্রেশ ডেকেড' শীর্ষক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে ইউসিবির বিশ্লেষকরা বলেছেন, চাহিদার চালিকাশক্তিগুলি এবং সরবরাহ সহজ করার উদ্যোগ তুলনামূলক স্থায়ী বা টেকসই (ডিউরেবল) ভোক্তাপণ্যে প্রত্যাশিত নজিরবিহীন প্রবৃদ্ধির সহায়ক হবে।  

চাহিদার চালিকাশক্তি সমূহ: 

দেশে বিদ্যুতায়নের সফলতাকে কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সের চাহিদা বৃদ্ধির একটি প্রধান চালিকাশক্তি বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্লেষকরা। 

২০১০ সালে মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের কম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী ছিলেন। এক দশক আগে সরকার দেশজুড়ে বিদ্যুতায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্য নেয়। যার আওতায় ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে বেসরকারি উৎপাদকদের সম্পৃক্তকরণের ফলে ইতোমধ্যেই প্রায় শতভাগে উন্নীত হয়েছে বিদ্যুতায়ন।   

জনগণের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির বিষয়টিও স্পষ্ট ভূমিকা রাখছে। গত অর্থবছর থেকে মাথাপিছু গড় জাতীয় আয় ৯ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ২২৭ ডলারে পৌঁছেছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১০ সালে এর পরিমাণ ছিল মাত্র ৮০০ ডলার।   

এ ব্যাপারে বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ ও লাইট ক্যাসল পার্টনার্সের পূর্বাভাস উল্লেখ করে ইউসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট জানায়, ২০২৫ সাল নাগাদ মধ্যবিত্ত ও স্বচ্ছল শ্রেণিভুক্ত জনসংখ্যা ৩ কোটি ৪০ লাখে উন্নীত হবে। চলতি দশকের শেষে এই সংখ্যা হবে ন্যূনতম সাড়ে ৪ কোটি।  

ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের সবচেয়ে বড় ভোক্তা হিসেবে প্রক্ষেপিত জনসংখ্যার ভৌগলিক বণ্টনও বেশ উৎসাহজনক। দেশের ৬৩টি শহরের অন্তত এক লাখ করে বাসিন্দা মধ্যবিত্ত ও স্বচ্ছল শ্রেণির। চলতি দশকের শেষ নাগাদ এমন শহরের সংখ্যা ৯০টি হবে বলে অনুমান করছে ইউসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট। একইসঙ্গে, স্বছল শ্রেণি অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় কনজ্যুমার বেজ আরও বিস্তৃত হওয়ার আশা করছে।    

মানুষের ক্রমবর্ধমান আর্থিক ক্ষমতার পাশাপাশি আর্থসামাজিক পরিবর্তনগুলিও ইলেকট্রনিক্স এবং অ্যাপ্লায়েন্স শিল্পের শক্তিশালী প্রভাবক হিবেবে আবির্ভূত হচ্ছে। 

যেমন- বাংলাদেশে নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ এক দশক আগের ৩০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার গড় এখনও ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ। 

কর্মজীবী নারীর সংখ্যা যত বাড়বে, ততই তাদের জীবনকে সহজ করে তোলে- এমন গৃহস্থালি পণ্যের চাহিদাও বাড়বে। 

নারী কর্মসংস্থান সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পোশাক শিল্পে, যাদের অধিকাংশই স্বল্প আয়ের পরিবারের সদস্য। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মধ্যবিত্ত ও স্বচ্ছল শ্রেণির নারীদেরও কর্মস্থলে অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে, যা চাহিদা বৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।  

তাছাড়া, দ্রুত নগরায়ন এবং কর্মস্থলে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির প্রভাবে বাড়ছে একক বা ছোট পরিবারের সংখ্যা। নতুন পরিবারগুলোও যাপিত জীবন সহজ ও আধুনিক করে তোলে এমন পণ্য কিনতে খরচ করছে।

বাংলাদেশিরা এখন দিনে গড়ে ২ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট সামাজিক মাধ্যম সার্ফিংয়ে ব্যয় করছেন, যার অধিকাংশই ফেসবুকে কাটছে বলে জানিয়েছে ইউসিবির প্রতিবেদন।  

তাই সাধ্যের মধ্যে থাকলে তারাই আগে ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনছেন। 

সরবরাহ সুবিধা:   

স্থানীয় কারখানাগুলোয় প্রস্তুতকৃত পণ্য সরবরাহ বেড়ে চলায় আরও সুলভ হচ্ছে ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স সামগ্রী। খরচ ও মূল্য কমাতেও নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করছে তারা।  

২০০০ এর দশকের শুরুতেও সিঙ্গার বাংলাদেশের মতো মুষ্টিমেয় কিছু কোম্পানি স্থানীয়ভাবে টেলিভিশন সেট ও ফ্রিজ সংযোজন করতো, অন্যদিকে অধিকাংশ কোম্পানি বিদেশ থেকে আমদানিকৃত ইলেক্ট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স দেশে উচ্চমূল্যে বিক্রি করেছে।   

তবে বিভিন্ন সময়ে সরকারি নীতি সহায়তা এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের মতো স্থানীয় উদ্যোক্তাদের দূরদর্শীতা ও নিরলস চেষ্টার ফলে আমূল পাল্টে যায় পরিচিত এ দৃশ্যপট।  

২০০৮ সালে মাত্র ১০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরুর পর আজ দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে ওয়ালটন। কোম্পানির বার্ষিক আয় ৭ হাজার কোটি টাকা আর গত অর্থবছরে মুনাফা ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়।   

স্থানীয় উৎপাদনে কর ও শুল্ক ছাড়ের মতো সুযোগ দিয়েও সরকার অব্যাহত বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে। প্রতিযোগী বাজারে অবস্থান দৃঢ় করতে কয়েক ডজন ব্র্যান্ড স্থানীয়করণের পথ বেঁছে নিয়েছে।  

ওয়ালটনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে গত দশকের মাঝামাঝি নিজস্ব রেফ্রিজারেটর প্লান্ট স্থাপনে বিনিয়োগ করে সিঙ্গার। বর্তমানে বাংলাদেশেই টেলিভিশনসহ অন্যান্য পণ্য উৎপাদন করছে কোম্পানিটি।  

পিছিয়ে নেই অন্যরাও। এলজির স্থানীয় অংশীদার বাটারফ্লাই, স্যামসাংয়ের অংশীদার ফেয়ার টেকনোলজিসও দেশে টিভি, ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার ও ওয়াশিং মেশিন উৎপাদনে বিনিয়োগ করেছে। 

বাজারের দ্রুত বিকাশের সম্ভাবনাকে মাথায় রেখেই র‍্যাংগসের মতো স্থানীয় বাজারের অন্যান্য প্রতিযোগী নিজস্ব কারখানা স্থাপনে বিনিয়োগ করছে।    

বর্ধিষ্ণু বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও পর্যায়ক্রমে প্রযুক্তি অধিগ্রহণ এবং প্রতিযোগিতার প্রবণতা; মূল্য সংবেদনশীল এ বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে মূল্য কম রাখতে সহায়তা করছে।   

দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে উৎপাদনের এ বাস্তসংস্থান ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যের গুরুত্বপূর্ণ কিছু যন্ত্রাংশ সরবরাহের পাইকারি ব্যবসারও সূচনা করেছে। যেমন- তৈরি হয়েছে ফ্রিজ ও এসির কম্প্রেশার সরবরাহের ব্যবসা।   

গত এক দশকে এলসিডি প্যানেলের গড় দাম ১৮ হাজার টাকা থেকে কমে ২ হাজার টাকায় নেমেছে। অর্ধেক কমে এখন ১৫ হাজারে নেমেছে এসির কম্প্রেশারের গড় দাম। অন্যদিকে ফ্রিজের কম্প্রেশার এক দশক আগের চেয়ে ৪ ভাগের একভাবে নেমে আসার কথা শিল্প সংশ্লিষ্টদের সাক্ষাৎকারের বরাতে উদ্ধৃত করেছেন ইউসিবির বিশ্লেষকগণ।  

গত এক দশক ধরে প্রায় সকল শ্রেণির আয় ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পায়। বাড়ে মধ্যবিত্ত ও সম্পন্ন শ্রেণির খরচযোগ্য আয়। তার সাথে সাথে ইউনিটপ্রতি পণ্যমূল্যের নাটকীয় পতনের প্রবণতা, আরও নতুন ক্রেতা তৈরির সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।  

টেকসই পণ্য কিনতে সহজে অর্থায়ন পাওয়ার সুবিধাও এ শিল্প বিকাশের আরেকটি বড় অনুঘটক। যেমন- কেউ একটি ক্রেডিট কার্ডের মালিক হলেই ১২-২৪ মাস পর্যন্ত সুদমুক্ত কিস্তিতে ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যমূল্য পরিশোধের সুযোগ পান।  

যাদের ক্রেডিট কার্ড নেই তারাও হায়ার পারচেজ বা ভাড়ামূলক ক্রয় এর মাধ্যমে ন্যূনতম একটি মাসিক কিস্তি দিয়ে দেশজুড়ে অবস্থিত খুচরা বিক্রয়ের আউটলেট থেকে পণ্য কিনতে পারছেন। ওয়ালটন ও সিঙ্গার এ সুবিধা দেয়ায় এগিয়ে রয়েছে।   

আরও প্রবৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা: 

সমাজের সর্বস্তরে এখনও তেমনভাবে টেকসই পণ্য পৌঁছাতে পারেনি, তাই বাংলাদেশে এই বাজারের প্রবৃদ্ধি আরও একটি বড় উদ্যোগের অপেক্ষায় রয়েছে বলে মনে করেন ইউসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের বিশ্লেষক ও প্রতিবেদনটির লেখক সুদিপ্ত রাশাদ।    

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বড় ধরনের নীতি পরিবর্তন লক্ষ্য করছে, বিশেষত উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসছে নিয়ন্ত্রক বিধিমালা ও ব্যবসায়িক পরিবেশ সহায়ক করে তোলার দিকে। ফলে কোম্পানিগুলোর জন্যও আগামীতে স্থানীয় পর্যায়ে কারখানা স্থাপন করা সহজ হবে।    

স্থানীয় বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে সুলভ মূল্য রাখার পাশাপাশি, ভালো মুনাফা অর্জনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি সরকার টেকসই ভোক্তাপণ্য শিল্পের জন্য কিছু তাৎপর্যপূর্ণ নীতি-সহায়তার প্রস্তাব করেছে। 

যার আওতায়, ন্যূনতম ৩০ শতাংশ মূল্য সংযোজক হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স প্রস্তুতকারকরা ২০৩১ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত কর রেয়াত পাবেন।   

ওয়াশিং মেশিন এবং রান্নাঘরের যন্ত্রপাতির উৎপাদন মূল্য সংযোজন কর থেকে অব্যাহতি পাবে। কাঁচামাল আমদানি সহজ করতে অগ্রিম আয়কর ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া ফ্রিজ ও কম্প্রেশার তৈরির কাঁচামাল আমদানিতে বর্তমানের বিশেষ সুবিধামূলক ছাড় অব্যাহত রাখার ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।   

এ প্রসঙ্গে সুদিপ্ত রাশাদ বলেন, 'ভবিষ্যত প্রবৃদ্ধির জন্য সুবিধার সুষম বণ্টন ইলেকট্রনিক্স খাতে দ্রুত অগ্রগতির সহায়ক শক্তি হবে, যা সরকারের ভিশন ২০৪১ এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।'  

নীতি সহায়তা ওয়ালটনের মতো বিস্ময়কর আরও সাফল্য অর্জনে অন্যদের উৎসাহিত করবে। প্রতিষ্ঠানটি এখন ফ্রিজ আমদানি প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। দেশের ৭০ ভাগ ফ্রিজের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তেও রপ্তানি করছে।  

ওয়ালটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মুর্শেদ এর আগে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেছিলেন, স্থানীয় বাজারের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার কোম্পানি অন্যান্য প্রোডাক্ট লাইন উৎপাদনে যাচ্ছে। বিদ্যমান পণ্যেও যুক্ত করছে নিজস্ব উদ্ভাবনা। একইসাথে বিশ্ববাজারে দৃঢ় অবস্থান করে নেওয়ার চেষ্টা করছে।  

দেশের অ্যাপ্লায়েন্স শিল্প এখন পর্যায়ক্রমে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, রান্নাঘরের যন্ত্রপাতি যেমন- গ্রাইন্ডার, ব্লেন্ডারসহ দৈনন্দিন জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আনার মতো নানান পণ্য উৎপাদনে ঝুঁকছে। এই খাতে কোম্পানিগুলোও এখন বেশি বিনিয়োগ করছে। 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.