স্থানীয় সিরামিক পণ্যে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি ব্যবসায়ীদের

অর্থনীতি

টিবিএস রিপোর্ট
02 March, 2021, 05:45 pm
Last modified: 02 March, 2021, 05:51 pm
সিরামিক উৎপাদনের জন্য আমদানিকৃত কাঁচামালের শুল্ক অনেক বেশি উল্লেখ করে তা ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাবও দিয়েছেন তারা।

দেশে উৎপাদিত টাইলস ও স্যানিটারি পণ্যে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন দেশের সিরামিকস পণ্য উৎপাদনকারীরা।  

সিরামিক উৎপাদনের জন্য আমদানিকৃত কাঁচামালের শুল্ক অনেক বেশি উল্লেখ করে তা ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাবও দিয়েছেন তারা। সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় এই প্রস্তাব তুলে ধরেন বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। এনবিআর সম্মেলন কক্ষে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা জানান, দেশে এখন প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের ৬৮টি সিরামিক শিল্প কারখানা রয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক কারখানা দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করছে।

তিনি বলেন, "শ্রম ঘন এই শিল্পটি আমাদের দেশের জন্য অনেক বেশি উপযোগী হলেও এর প্রায় ৯০ শতাংশ কাঁচামাল আমদানি নির্ভর। এই আমদানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক আরোপের ফলে আমরা বিদেশি প্রতিযোগীদের সঙ্গে পেরে উঠছি না। তাই এই খাতের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার অনুরোধ জানাচ্ছি ।"

এই খাতে ব্যবহৃত জিরকোনিয়াম সিলিকেট, প্রিন্টিং ইঙ্ক, কাভার কোট, ন্যানো ক্যামিকেলস, ক্যালসিয়ামসহ অনেক ধরনের কাঁচামাল সম্পূর্ণ আমদানির ওপর নির্ভরশীল জানিয়ে সিরাজুল ইসলাম বলেন, "এসব কাঁচামালের উপর ক্ষেত্রভেদে এখন প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত নানা ধরনের শুল্ক রয়েছে,"

সিরামিক এখন আর বিলাসবহুল দ্রব্য নয় জানিয়ে সংগঠনটি বলছে, সময়ের পরিবর্তনের কারণে এখন অধিকাংশ মানুষের বাসাতেই টাইলস ও স্যানিটারি পণ্য ব্যবহার করতে হয়। ফলে এর ওপর  ১৫ ও ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক সম্পূ্র্ণ প্রত্যাহার করা দরকার বলে জানায় সংগঠনটি।  

সিরাজুল ইসলাম বলেন, "এখন অনেক ব্যবসায়ী অতিরিক্ত শুল্কায়নের ফলে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানি করছেন। শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক উঠিয়ে দিলে বিশ্বাস অবিশ্বাসের জায়গা উঠে যাবে।"

সিরামিক শিল্পের ক্লে আমদানির পর তার ময়েশ্চার হিসাবে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত অবচয় সুবিধা দাবি করেন সংগঠনটির সহ সভাপতি ও মুন্নু সিরামিকসের ভাইস চেয়ারম্যান মইনুল হোসেন। এনবিআর বর্তমানে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ময়েশ্চার হিসাবে অবচয় সুবিধা দিয়ে থাকে। 

ইকোনমিকস জোনে স্থাপিত নতুন কারখানা কর অবকাশ সুবিধা পেলে বিদ্যমান কারখানাগুলোর জন্য একই রকম সুবিধা রাখার প্রস্তাব করেন তিনি। 

সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম জানান, দেশীয় শিল্পের বিকাশ ও স্বার্থ রক্ষা করা এনবিআর এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

"সকল ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমরা প্রত্যেক বাজেটের আগে আলোচনা করি, যাতে দেশের শিল্প উন্নয়নে তাদের পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারি।" বলেন তিনি। 
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.