সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা রেখে চলেছে রেমিট্যান্স: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন

অর্থনীতি

টিবিএস রিপোর্ট
01 March, 2021, 09:20 am
Last modified: 01 March, 2021, 09:38 am
২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় রেমিট্যান্স আহরিত দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যথাক্রমে ভারত ও পাকিস্তান। 

করোনার মাঝেও রেমিট্যান্সের উল্লম্ফন সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সরকারের মনোবল বাড়িয়েছে। কর্মসংস্থান, জীবনমান ও ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ বাড়াতে ভূমিকা রাখছে রেমিট্যান্স। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশিত 'কোয়াটারলি রিপোর্ট অন রেমিট্যান্স ইনফ্লোজ ইন বাংলাদেশ অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২০' শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। 

রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবাহের ফলে বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ৪৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। চলতি মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১.৬৩ বিলিয়ন ডলার। মাস পূর্তিতে এটি ১.৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। চলতি অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি রেমিটেন্স এসেছে। 

করোনার মাঝেও রেমিট্যান্সের এত উল্লম্ফনই সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখছে। যদিও আমদানি ব্যয় কম হওয়ায় বৈদেশিক বাণিজ্যের লেনদেনে উদ্বৃত্ত বা কারেন্ট একাউন্ট সারপ্লাস বাড়ছেই। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) এটি ৪.৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) রেমিট্যান্স আয় এসেছে ৬.২ বিলিয়ন ডলার, যা গেল অর্থ বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ২৭.৪৭ শতাংশ বেশি। 

অক্টোবর-ডিসেম্বরে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সৌদি আরব থেকে, যা মোট রেমিট্যান্স আয়ের ২৩.৩২ শতাংশ। ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে, যা মোট রেমিট্যান্সের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। 

প্রতিবেদনে বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় রেমিট্যান্স আহরিত দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যথাক্রমে ভারত ও পাকিস্তান। 

করোনার প্রকোপে জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ থাকলেও সীমিত পর্যায়ে শুরু হয়েছে। গেল অক্টোবর-ডিসেম্বর এই তিন মাসে মোট জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে ৩৬ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ৩ হাজার জন নারী আছেন। আলোচ্য সময়ে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক গিয়েছেন সৌদি আরবে। 

মার্চ থেকে বন্ধ থাকার পর মূলত চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) থেকে জনশক্তি রপ্তানি আবার শুরু হয়েছে। ওই তিন মাসে বিদেশে গিয়েছিলেন মাত্র ২৭৫ জন, এর মধ্যে ২৩ জন নারীও ছিলেন।   

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) হিসেবে ২০২০ সাল পর্যন্ত মোট ১.২৩ কোটি বাংলাদেশী শ্রমিক কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.