সরকার এসএমইকে আরও সহায়তা করবে, ব্যাংক খাতে নজরদারি বাড়াবে: অর্থমন্ত্রী

অর্থনীতি

02 June, 2021, 08:05 pm
Last modified: 02 June, 2021, 08:14 pm

করোনাভাইরাসের প্রকোপ এবং চলাচল নিষেধাজ্ঞায় সৃষ্ট প্রাথমিক ধাক্কা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। উচ্চ রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং খাদ্যশস্য উৎপাদন ব্যবস্থা বাংলাদেশকে গোটা বিশ্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বুকে সফলতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ হতে সাহায্য করেছে।

তবে, সম্প্রতি মহামারির দীর্ঘসূত্রিতার কারণে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার মন্থর হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিহত করার পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতে সহায়তা প্রদান এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের বিশেষ সংবাদদাতা আবুল কাশেম
 
মহামারির এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আমাদের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের চিত্র কেমন?

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ফলাফল দেখাতে শুরু করেছে। বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে লকডাউনের পাশাপাশি গত বছর বাংলাদেশে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি থাকায় অর্থনৈতিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ২৪ শতাংশে নেমে আসে। যেখানে, আগের বছর প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ।

কিন্তু তা সত্ত্বেও, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের অর্থনীতির তুলনায় আমাদের প্রবৃদ্ধির হার বেশি। সম্প্রতি, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট "মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারের প্রাথমিক লক্ষণ দেখাতে শুরু করেছে বাংলাদেশের অর্থনীতি" শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গৃহীত নীতিমালা এবং নেতৃত্ব নিয়ে প্রশংসা করা হয়।

কোভিড-১৯ মহামারির বিরূপ প্রভাব কাটিয়ে উঠতে গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজগুলো ছিল তাৎক্ষণিক এবং সময়োপযোগী। অধিকাংশ লোক যেন উপকৃত হতে পারে সে কথা মাথায় রেখেই আমাদের মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশের সমপরিমাণ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়. যার পরিমাণ এক লাখ ২৪ হাজার ৪৪১ কোটি টাকার বেশি।

দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কোভিড-১৯ ধাক্কা সামলে ওঠার সংকেত বহন করছে। মহামারির আঘাতে বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি বাজারগুলোও এখন সংকটের মুখে। কিন্তু, ২০২০ সালের জুলাই মাসের পর প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পায়।

চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ উল্লেখজনকভাবে ৪০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পয়লা মে পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ৪৫.১ বিলিয়ন ডলার। দেশের ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ।

২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় চার কোটি ১৫ লাখ টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়। আগের বছরের তুলনায় উৎপাদন ১ দশমিক ৩ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। জ্বালানি গ্যাস এবং বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ায় শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির ইঙ্গিতও মিলেছে। চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহনও বৃদ্ধি পেয়েছে।

এসব চিত্র থেকে প্রতীয়মান হয় যে, দেশের অর্থনীতি সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
 
বিশ্ব যখন মহামারির ধাক্কায় বিপর্যস্ত, তখন বাংলাদেশ কেন প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বলে মনে করেন?

২০২০ সালের অক্টোবরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটিতে চলতি বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে এমন দেশের তালিকায় বাংলাদেশসহ মাত্র ২২টি দেশের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মতে, মহামারির মধ্যে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী তিনটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি।

আসন্ন অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলেও জানায় সংস্থাটি।

ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এনে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে আমাদের সফলতার প্রথম এবং প্রধান কারণ হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের নেতৃবৃন্দের থেকে এগিয়ে ছিলেন।

দ্বিতীয় যে বিষয়টি ভূমিকা রেখেছে তা হল আমাদের দেশের সহনশীল, কঠোর পরিশ্রমী, সৎ এবং সহানুভূতিশীল মানুষ। তৃতীয় অবদান আমাদের কৃষিখাতের। মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদসহ এই খাত আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতি বাঁচিয়ে রাখতে এবং খাদ্য সরবরাহের নিশ্চয়তায় প্রদানে মূল ভূমিকা পালন করেছে।

চতুর্থ কারণটি হলো, প্রণোদনা প্যাকেজের কারণে বাণিজ্যে স্বস্তি ফিরে আসা। বৃহদাকার প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এক্ষেত্রে দেশের অর্থনীতি পুনঃসঞ্চারে ভূমিকা রেখেছেন।

পঞ্চম বিষয়টি হলো, আমাদের অর্থনীতির দুই গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি রপ্তানি ও প্রবাসী আয়। মহামারির আগ্রাসনেও খাত দুটির কার্যক্রম ছিল প্রশংসনীয়।

আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স প্রবাহের ব্যাপক ইতিবাচক ভূমিকা আছে। অভ্যন্তরীণ ভোগ এবং চাহিদাকে ধরে রাখার পাশাপাশি ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পখাতসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক খাতে প্রবাসী আয়ের অবদান আছে।

সর্বশেষ বিষয়টি হলো, আমাদের সম্প্রসারণমূলক রাজস্ব এবং মুদ্রানীতির কারণে অর্থনীতিতে সরকারি ব্যয়বৃদ্ধির পাশাপাশি বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের জন্য পর্যাপ্ত তারল্য বজায় থাকা।
 
আমাদের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত (এসএমই) বড় অবদান রাখছে। কিন্তু, তারা প্রয়োজন অনুসারে পর্যাপ্ত সহায়তা পাচ্ছে না কেন?

স্বল্পসুদে বিতরণ করা ঋণ হিসাব করলে মনে হতে পারে যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত তুলনামূলক কম সহায়তা পেয়েছে। কিন্তু বর্তমানে, বৃহদাকার প্রতিষ্ঠান এবং এসএমই'র প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন হার প্রায় একই, যা শতকরা ৭৫ শতাংশ।

৯০ হাজারের বেশি নারী ও পুরুষ উদ্যোক্তা স্বল্পসুদে এসএমই ঋণ গ্রহণ করেছেন।

প্রথম দিকে, এসএমই ঋণ বিতরণের বিষয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পখাতে ঋণ বিতরণ ত্বরান্বিত করতে ব্যাংকগুলোকে উদ্বুদ্ধ করাসহ গ্যারান্টি স্কিম চালু করার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

প্রতিনিয়ত দৃষ্টি দেওয়া জরুরি এমন নতুন ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি আমরা। নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে আমরা বিভিন্ন অংশীদার এবং পরামর্শক সভা কাছ থেকে পরামর্শ ও সুপারিশ গ্রহণ করতে আলোচনার আয়োজন করি।

তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে সম্প্রতি সরকার দুটি নতুন প্রণোদনা প্যাকেজ চালু করেছে। এর মধ্যে একটি হলো, ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাহায্যে গ্রামীণ অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে স্বল্পসুদের ঋণ ব্যবস্থা বিস্তার করা। অপরটি হলো, ১৫০টি হতদরিদ্র উপজেলায় বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত নারীদের সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি বয়স্ক ভাতা প্রদানের মাধ্যমে শতভাগ সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা।

মহামারি থাকা সত্ত্বেও, প্রথম দিকে কিছুটা হোঁচট খেয়ে আমরা দেশের রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পেতে দেখেছি। কিন্তু, সাম্প্রতিক সময়ে পূর্বানুমান অনুযায়ী আমরা আয়ের ক্ষেত্র সংকোচিত হতে দেখছি। আপনি কি এখানে শঙ্কার কারণ দেখছেন?

চলতি অর্থবছরে, রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪১ বিলিয়ন ডলার। প্রথম দশমাসে আমরা ৩২.১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছি। প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ৭ শতাংশ।

অর্থবছর শেষ হওয়া নাগাদ আমরা লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারব বলে আমি আশা করছি।

অন্যদিকে, রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধির হার ৪০ শতাংশ। রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২২.৮ বিলিয়ন ডলার। প্রাপ্ত তথ্যচিত্রে শঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো তথ্য আমরা পাইনি।

রপ্তানি ও প্রবাসী আয় সরবরাহ সচল রাখতে প্রণোদনা বিতরণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

দেশের প্রধান রপ্তানিখাত তৈরি পোশাকশিল্প খাতে প্রণোদনা এবং সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা হয়েছে। বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠানোর ক্ষেত্রে ২ শতাংশ প্রণোদনা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে, দেশে অবস্থানরত পরিবার-পরিজনকে সুখে রাখতে দেশের বাইরে আমাদের কঠোর পরিশ্রমী প্রবাসী ভাই ও বোনেরা বৈধ পথে অর্থ প্রেরণে উৎসাহিত হয়েছেন।
 
শোনা যাচ্ছে যে, ঋণ আদায়ের স্থগিতাদেশ বা মোরাটোরিয়াম তুলে ফেলা হলে ব্যাংকে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণীবিন্যস্ত বা ক্লাসিফাইড ঋণ বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসায় মন্দার কারণে বহু ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছেন। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী? আপনি একটি ব্যাংকিং কমিশনের প্রস্তাব রেখেছিলেন। কবে নাগাদ তা গঠন হবে? ব্যাংক মার্জার বা একত্রীকরণের কোনো সম্ভাবনা কী আছে?

ঋণ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন মহলের কাছ থেকে একটি প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে- কবে নাগাদ আমরা একটি শক্তিশালী স্বতন্ত্র ব্যাংকের দেখা পাব?

আমানতকারীদের স্বার্থ ধরে রাখার পাশাপাশি আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এফআই) জন্য বিভিন্ন নীতি ও বিধিমালা, নির্দেশনা এবং সার্কুলার জারি করে থাকে। ব্যাংক এবং এফআইগুলোতে সুশাসন নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত সরাসরি পরিদর্শন ছাড়াও পরোক্ষ তদারকি করে থাকে।

এছাড়া, ব্যাংক এবং এফআইতে চিহ্নিত হওয়া অনিয়মের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধন ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংক শক্তিশালী বা স্বায়ত্তশাসিত নয় এমনটা আমার মনে হয় না। মহামারি চলাকালেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক দক্ষতার সাথে আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাজারে ঋণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যাংকটি যথাসাধ্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ফলে, গড় বাড়িত সুদহার ৭ দশমিক ৪ শতাংশের মতো স্বল্পহারে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

গত দুই বছরে আমরা খেলাপি ঋণ (এনপিএল) ১০ দশমিক ৩৩ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। ২০০৬ সালে, এনপিএল অনুপাত ছিল ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। সুতরাং, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাংকিং খাতের অন্তর্নিহিত সমস্যাগুলো সমাধানে গৃহীত উদ্যোগের বিষয়ে আমাদের অবগত হওয়া উচিত। এর আগে, ২০১৩ সালে ব্যাংক খাতে বৈধ ভাবে করপোরেট গভর্নেন্স প্রয়োগে ১৯৯১ সালের ব্যাংক-কোম্পানি আইনে সংশোধন আনা হয়।

সংশোধিত আইনে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ, অডিট ও কমপ্লায়েন্স কমিটি গঠন এবং ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের লেনদেনের সীমা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া, ব্যাংকের পরিচালক বা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা, সিইও পদে দায়িত্ব আরোপ কিংবা অপসারণের পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের বিষয়টি যুক্ত করা হয়।

২০১৯ সালে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরকে প্রধান করে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করি। আধুনিক ডিজিটালাইজড ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনার উপযুক্ত ব্যাংক সম্পর্কিত পাঁচটি আইন পর্যালোচনা করার জন্য এই কমিটি গঠিত হয়।

সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে একটি পর্যালোচনা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে। আইনগুলো পর্যালোচনায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড এবং সুশাসনের বিষয় বিবেচনায় রাখা হয়েছে। দেশের বাইরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরার পাশাপাশি মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা আনায় আমরা কঠোর পরিশ্রম করে চলেছি।
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.