রেয়াতি শুল্কে সুতা আমদানির অনুমতি চায় টেরিটাওয়েল রপ্তানিকারকরা 

অর্থনীতি

টিবিএস রিপোর্ট
17 August, 2021, 09:45 am
Last modified: 17 August, 2021, 09:51 am
বন্ড লাইসেন্সবিহীন রপ্তানিকারকদের বর্তমানে সুতা আমদানি করতে হলে ৩৭ শতাংশ শুল্ককর পরিশোধ করতে হয়।

স্থানীয় বাজারে সুতার সংকট ক্রমেই বাড়ছে এবং এ সংকট সমাধানে সুতা আমদানির বিদ্যমান বাঁধা অপসারণের দাবি হোম টেক্সটাইল রপ্তানিকারকদের। বন্ড লাইসেন্স নেই, এমন রপ্তানিকারকদের রেয়াতি শুল্কে সুতা আমদানির অনুমতি চেয়ে গতকাল বাংলাদেশ টেরি টাওয়েল অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিটিএলএমইএ) সরকারের দুইটি মন্ত্রণালয় ছাড়াও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।

বন্ড লাইসেন্সবিহীন রপ্তানিকারকদের বর্তমানে সুতা আমদানি করতে হলে ৩৭ শতাংশ শুল্ককর পরিশোধ করতে হয়। বিটিটিএলএমইএ'র সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন সোহেল দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "এই সুতা আমরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় নয়, এক শতাংশ শুল্কে আমদানি করতে চাই। এতে সুতার বাজারে ভারসাম্য আসবে"। 

চিঠিতে টেরিটাওয়েল তৈরিতে ব্যবহৃত হওয়া ৬ থেকে ২০ কাউন্টের সুতা আমদানির অনুমতি দেওয়া (যাদের বন্ড লাইসেন্স নেই), রেয়াতি হারে বা হ্রাসকৃত হারে সুতা আমদানির অনুমতি দেওয়া, বেনাপোল বন্দরের বাইরেও অন্যান্য স্থলবন্দর সহ  নৌপথ, স্থলপথ ও রেলপথের মাধ্যমে আমদানি এবং একই এলসির বিপরীতে আংশিক সুতা (পারশিয়াল শিপমেন্ট) অনুমতি দেওয়ার দাবিও জানানো হয়।

সুতার চাহিদা বাড়তে থাকায় স্থানীয় বাজারে দাম বাড়ার অভিযোগ করে আসছেন তৈরি পোশাক উৎপাদক ও হোমটেক্সটাইল খাতের উদ্যোক্তারা। ইস্যুটি নিয়ে গত সপ্তাহের শেষদিকে সভায় সুতার দাম আপাতত বাড়বে না বলে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়। 

তবে হোম টেক্সটাইল মিল মালিকরা বলছেন, এ ঘোষণার পর থেকে সুতার সংকট আরো বেড়ে গেছে। এখন চাইলেও সুতা পাওয়া যাচ্ছে না।

চিঠিতে বিটিটিএলএমইএ'র সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন সোহেল বলেন, "টেরিটাওয়েলসহ হোম টেক্সটাইলের পণ্য তৈরিতে স্থানীয় সুতার উপর আমরা নির্ভরশীল। কিন্তু স্থানীয় মিলগুলো আমাদের চাহিদা এবং লিড টাইম অনুযায়ী সুতা সরবরাহ করতে পারছে না। ভারত, পাকিস্তান ও অন্যান্য দেশের তুলনায় স্থানীয় সুতার দাম ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ বেশি"।  
 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.