বিশ্ববাজারে আউন্সপ্রতি স্বর্ণের দর ২ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে, আরো বৃদ্ধির সম্ভাবনা

অর্থনীতি

টিবিএস ডেস্ক
05 August, 2020, 07:55 pm
Last modified: 06 August, 2020, 01:10 am
কোভিড-১৯ জনিত মন্দায় স্থবির অর্থনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য ফেরাতে নানা দেশের সরকার বাড়তি প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দেবে- এমন সম্ভাবনা বেড়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে বহুমূল্য সোনালী ধাতুটির দর আরো চড়তে পারে।  

চীন-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি বেড়ে চলা এবং মহামারি মোকাবিলায় নানা দেশের সরকারের আরো প্রণোদনা দেওয়ার সম্ভাবনায় বিশ্ববাজারে ঊর্ধমুখী স্বর্ণের দর। আলোচিত কারণগুলোর প্রেক্ষিতে স্বর্ণ কিনতেই বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে মঙ্গলবার (বাংলাদেশ সময় বুধবার) নাগাদ মার্কিন বাজারে স্বর্ণের দর আউন্সপ্রতি বেড়ে দাঁড়ায় দুই হাজার ডলারে।   

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের ইস্যুকৃত বন্ডে প্রদত্ত সুদহার কমায় নিরাপদ বিনিয়োগ উৎস হিসেবেও চাহিদা বাড়ছে স্বর্ণের। চলতি বছর স্বর্ণের ৩০ শতাংশ দর প্রবৃদ্ধির পেছনে যা অন্যতম প্রভাবক হিসাবে কাজ করে। এছাড়া, কোভিড-১৯ জনিত মন্দায় স্থবির অর্থনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য ফেরাতে নানা দেশের সরকার বাড়তি প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দেবে- এমন সম্ভাবনা বেড়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে বহুমূল্য সোনালী ধাতুটির দর আরো চড়তে পারে।  

অর্থনীতিতে তারল্য সঞ্চারে ফেডারেল রিজার্ভ বাড়তি অর্থ সরবরাহ করলে মার্কিন মুদ্রা ডলারের দর কিছুটা কমবে। অথচ ডলার হচ্ছে, বিশ্ববাণিজ্যে লেনদেনের প্রধান মাধ্যম। এ অবস্থায় দুর্বল ডলার এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির ধীরগতির পুনরুত্থান মিলে স্বর্ণের বাজারমূল্য ২৩০০ ডলার আউন্সে পৌঁছাবে, বলে পূর্বাভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাক্স। খবর ব্লুমবার্গের।    

দুর্লভ ধাতুর লেনদেনে বিনিয়োগের পরামর্শক সংস্থা স্প্রোট ইঙ্কের বাজার কৌশলবিদ পল ওং বলেন, ''স্বর্ণের দর আরো উত্থানের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েই আছে। আগামীতে সরকারিভাবে ব্যয় বৃদ্ধির অনুমান করা হচ্ছে। তাছাড়া, ধীর গতির অর্থনৈতিক উত্তরণের পরিস্থিতি এবং তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রণীত সহায়ক ও নমনীয় মুদ্রানীতি; বিনিয়োগ উৎস হিসেবে স্বর্ণের চাহিদা বাড়াবে।  

লন্ডন বাজারে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা বেজে ২ মিনিটে স্বর্ণের দর আউন্সপ্রতি রেকর্ড ২,০৩৯.৯৩ ডলারে লেনদেন করা হয়। কোমেক্স বাজারে বিনিময় হার ছিল ২,০৫৫.৪০ ডলার। স্বর্ণের পাশাপাশি রুপোর দরও বাড়তির দিকে। ৩ শতাংশ মূল্য প্রবৃদ্ধি নিয়ে তা তাৎক্ষনিক লেনদেন হয়েছে আউন্সপ্রতি ২৭.৭৭২৩ ডলারে। ২০১৩ সালের পর এটি রুপোর সর্বোচ্চ দর।  

 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.