ফেব্রুয়ারিতে বেড়েছে মূল্যস্ফীতি 

অর্থনীতি

টিবিএস রিপোর্ট
11 March, 2021, 10:20 am
Last modified: 11 March, 2021, 10:26 am
কোভিড পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাপকভাবে বেড়েছে। নির্মাণ সামগ্রীরও চাহিদা বেড়েছে। এ সুযোগে অনেক পণ্যই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।

নির্মাণ সামগ্রী- রড, সিমেন্টসহ খাদ্য বহির্ভূত বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ায় ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। একই সময়ে  বাড়তি খাদ্যপণ্যের দামও মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব ফেলেছে। ফলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। 

পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারী মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫.৩২%। জানুয়ারিতে এ হার ছিল৫.০২% গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল৫.৪৬%। 

বুধবার আগারগাঁওয়ে বিবিএস ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।   

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী এবং বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

এ সময় বিবিএস সচিব জানান, নির্মাণ সামগ্রীর দামে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সার্বিক মূল্যস্ফীতিতে। এছাড়াও বেশ কিছু খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। 

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৫.১৭%। এ হার জানুয়ারী মাসে ছিল ৪.৬৯% । গত বছরের একই সময়ে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৬.২৩%। 

অন্যদিকে ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৫.৪২% । গত জানুয়ারিতে এ হার ছিল ৫.২৩%। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ হার ছিল ৪.৯৭%। 

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের  (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, কোভিড পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাপকভাবে বেড়েছে। নির্মাণ সামগ্রীরও চাহিদা বেড়েছে। এ সুযোগে অনেক পণ্যই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আবার আন্তর্জাতিক বাজারেও নির্মাণ সামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে। এর প্রভাবও দেশের বাজারে পড়েছে।   

তিনি বলেন, অন্যদিকে বাজারে অনেক পণ্যের সরবরাহও কম । সরবরাহ কম থাকার কারণেও দাম বাড়ছে।  

বিবিএসের তথ্য অনুয়ায়ী ফেব্রুয়ারি মাসে চাল, ব্রয়লার মুরগি, ভোজ্য তেল, চিনির দাম বেড়েছে। আবার আলু, পেঁয়াজ, শাক সবজি (বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, ফুল কপি, বাঁধাকপি শিম, মুলা, টমেটো, গাজর), আঙ্গুর, কুল এবং বিভিন্ন মশলার দাম কমেছে।   

এদিকে বিবিএসের তথ্য অনুয়ায়ী গ্রামীণ এলাকায় ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে হয়েছে ৫.৩৩%। জানুয়ারি মাসে এ হার ছিল ৫.০০%। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এ হার ছিল ৫.৪৪%।

ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৫.৭২%। গ্রামে জানুয়ারি মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৫.৪৬%। গত বছরের একই সময়ে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৫.০৯% । 

জানুয়ারি মাসে গ্রামে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৪.১৫%। এ হার ফেব্রুয়ারি মাসে বেড়ে ৪.৬১% হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে গ্রামে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৬.১২%।

গ্রামের মতো শহর এলাকায়ও মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৫.৩০% হয়েছে। এর আগের মাসে যা ছিল ৫.০৫%। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৫.৪৮%। 

জানুয়ারি মাসের তুলনায় শহর এলাকায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৪.৭২% থেকে ৪.৭৬% হয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ হার ছিল ৪.৭০%।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.